<p>রাজধানী ঢাকার বনানী কবরস্থানে রবীন্দ্রসংগীতের বরেণ্য শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় তাঁর মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ধানমণ্ডির ছায়ানট ভবনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঘণ্টাখানেক পর নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর ধানমণ্ডি ২৮ নম্বরের বাসার সামনে কিছুক্ষণ রেখে ধানমণ্ডি-৬-এর ঈদগাহ মসজিদে বাদ জুমা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>ছায়ানট ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। সংস্কৃতিজনরা তাঁদের স্মৃতিচারণায় বলেন, শুধু রবীন্দ্রসংগীত নয়, পুরো সংগীতজগত্ পাপিয়া সারোয়ারের শূন্যতা অনুভব করবে।</p> <p style="text-align:center"><img alt="বনানী কবরস্থানে পাপিয়া সারোয়ারের দাফন সম্পন্ন" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/05-12-2024/Rif/14-12-2024-P4-1.jpg" width="1000" /></p> <p style="text-align:center"><em>রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।       ছবি : কালের কণ্ঠ</em></p> <p>ছায়ানট ভবনে পাপিয়ার মরদেহ আনা হলে রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহসভাপতি মফিদুল হক, ছায়ানটের সহসভাপতি খাইরুল আনাম শাকিল, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসাসহ অনেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সাংগঠনিকভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, ছায়ানট ও উত্তরায়ণ। পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রানুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।</p> <p> </p>