<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের সহযোগীদের দ্বারা নির্যাতিতা নারী তথা বীরাঙ্গনাদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার জন্য নারী অধিকার সংগঠন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নারীপক্ষ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কে রুবি গজনবী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রুবি গজনবী অ্যাওয়ার্ড ফর সোশ্যাল জাস্টিস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক পুরস্কারটি ২০২৩ সালের জন্য নারীপক্ষকে দেওয়া  হয়। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে পার্বত্য তিন জেলার আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোনঘর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে অনেক কথা হলেও বীরাঙ্গনারা যথেষ্ট স্বীকৃতি পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেক বীরাঙ্গনা অপেক্ষা করছিলেন, শুধু বিচারের জন্যেই নয়। তাঁদের ন্যূনতম যে প্রয়োজন ছিল প্রতিদিনের, সেগুলোও কিন্তু অনেকে পাননি। সেগুলো তাঁদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য নারীপক্ষ, মহিলা পরিষদসহ অনেক নারী সংগঠন ও অন্যরা কাজ করে যাচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সারা হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন আমরা শহীদদের ও মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করেছি, সঙ্গে সঙ্গে বীরাঙ্গনাদের কথাও বলেছি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মা-বোনদের ইজ্জতহানি, সম্ভ্রমহানি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শব্দগুলো একসঙ্গে এসেছে। তাঁরা যে মানুষ, বাংলাদেশের নাগরিক, তাঁদের যে অধিকার হরণ হয়েছে, তাঁরা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এ কথা বা শব্দগুলো খুব কম ব্যবহার করা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অনুষ্ঠানটি শুরু হয় কিংবদন্তি লালনসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক নায়লা কবির, ট্রাস্টি সদস্য অধ্যাপক পারভীন হাসান ও নারীপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রয়াত চেয়ারপারসন রুবি গজনবীর জীবন ও কাজের স্মরণে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রুবি গজনবী অ্যাওয়ার্ড ফর সোশ্যাল জাস্টিস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পুরস্কারটি ২০২৩ সালে প্রথম শুরু হয়। রুবি গজনবী জীবনের অনেকটা সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ চারুশিল্পের ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও চারুশিল্পীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষায় এবং ১৯৭১ সালের বীরাঙ্গনাদের জন্য বলিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।</span></span></p>