<p>সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে হত্যা মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) রমনা বিভাগের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ। তবে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই তা ধরা পড়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।</p> <p>গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল গির্জায় বড়দিন উদযাপন পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যিনি এমন কাজ করেছেন, তাঁকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। তবে ছুটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের কাজ আমরা কখনো প্রশ্রয় দেব না। এভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নিয়ম নেই। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা সেটা মানেননি।’</p> <p>চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝির চর এলাকায় এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্দেশ্য জানতে পারলে আপনারাও জেনে যাবেন।’</p> <p>উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ। গত ২৩ অক্টোবর দুই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়।</p> <p>নথিপত্র ও পুলিশ সূত্র বলছে, তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ তাঁর ডিবির পরিচয় গোপন করে নিউ মার্কেট থানার কর্মকর্তা পরিচয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নেননি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন।</p> <p> </p> <p> </p>