<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোজাম্বিকে চলমান ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় মোজাম্বিকপ্রবাসী কয়েক হাজার বাংলাদেশি আতঙ্কে রয়েছেন। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হামলা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। লুট করে নিয়েছে শত শত কোটি টাকার মালপত্র। প্রবাসী বাংলাদেশিরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মোজাম্বিকে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় সরকারি সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মোজাম্বিকের জাম্বেজিয়া প্রদেশের মাকুবা শহরসহ বিভিন্ন জেলায় বসবাস ও ব্যবসা করা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, সহিংস ঘটনায় দুর্বৃত্তরা তাঁদের প্রায় ৯ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। মোজাম্বিকের বড় কয়েকটি শহর ছাড়া স্থানীয় সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে বলে জানান বাংলাদেশিরা। এ ধরনের খবর জানার পর বাংলাদেশে থাকা স্বজনরা দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জানান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, গত ২১ অক্টোবর থেকে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গত কয়েক দিনের সহিংসতায় কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে শত শত। মোজাম্বিকে অবস্থানকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মার্কেট, দোকান, পুলিশ স্টেশন, পেট্রল পাম্প, ব্যাংকসহ অন্যান্য স্থাপনায় হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন মালপত্র ও অর্থ লুট করে নিয়েছে। বাংলাদেশিপ্রবাসীরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে দোকান বন্ধ করে দলবদ্ধভাবে বাসায় অবস্থান করছেন। পালা করে রাত জেগে বাসাবাড়ি পাহারা দিচ্ছেন বলেও জানান এই সব প্রবাসী বাংলাদেশি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মোজাম্বিকের মাকুবা শহরের ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বড় ঘোনার বাসিন্দা আবদুল কাদের জানান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার বহু ব্যবসায়ী মোজাম্বিকের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়ে আসছেন। এই দেশে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় এমন দুরবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। সহিংস ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশিপ্রবাসীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় রয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য নিজেরা রাতের বেলা পালা করে বাসাবাড়ি পাহারা দিচ্ছেন। গত ১০ বছরে তাঁরা এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন কখনো হননি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, তাঁর ছয়টি দোকান রয়েছে। দুর্বৃত্তরা প্রতিটি দোকানে লুটপাট চালিয়ে সব মালপত্র নিয়ে গেছে। একটি দোকান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি ৯ বছর ধরে মোজাম্বিকে রয়েছেন। ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার ইব্রাহিম চৌধুরী ১২ বছর ধরে মাকুবা শহরে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি জানিয়েছেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, তাঁদের এই অবস্থা জানানোর জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলেও মোজাম্বিকপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই ব্যবসায়ী জানান, মোজাম্বিকের এই রাজনৈতিক সহিংসতায় বড় দু-একটি শহর ছাড়া সব এলাকায় কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নেই বললেই চলে। মাকুবা শহরে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। থানা ফেলে পুলিশ পলিয়ে গেছে।</span></span></span></span></p>