<p>আল বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় কর্মবিরতিতে যাওয়া নৌযান শ্রমিকরা সরকারের প্রতিশ্রুতিতে আপাতত কাজে ফিরেছেন। চালু হয়েছে অভ্যন্তরীণ পথের নৌযান চলাচল। শনিবার রাত থেকেই কার্যক্রম শুরু হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরসহ কর্ণফুলী নদীর ১৬ ঘাটে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। ২৫টির মতো মাদার ভেসেল থেকে চলছে পণ্য খালাস। লাইটারেজ জাহাজেও পণ্য খালাস চলছে।</p> <p>গতকাল রবিবার কর্ণফুলী নদীর মাঝিরঘাট-সদরঘাট এলাকায় দেখা যায়, বহির্নোঙর থেকে মালপত্র নিয়ে ঘাটে ফিরছে লাইটার জাহাজ। মালপত্র নামিয়ে ফিরছে বহির্নোঙরে। সকাল থেকে দেখা গেছে, এখানকার নৌ শ্রমিকরা লাইটার জাহাজ থেকে মালপত্র ওঠানো-নামানোর কাজ করছেন।</p> <p>বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মো. খোরশেদ আলম বলেন, কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত করার পর কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। ফলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কর্ণফুলীর ঘাটগুলোতে।</p> <p>তিনি বলেন, ‘নদীপথে ৮০ শতাংশ পণ্য পরিবহন করে থাকেন নৌযান শ্রমিকরা। কোনো সরকার নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা নৌপথে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এই যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক।’</p> <p>এদিকে মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজের সাতজনকে খুনের ঘটনার বিচার এবং নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চলা নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট স্থগিত করা হয় শনিবার রাতে। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুরোধে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের নেতারা।</p>