<p>ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসচাপায় ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার বেপারি পরিবহনের বাসচালক মো. নুরুদ্দিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ঘটনার সাত দিন আগে থেকে গাড়িটি গ্যারেজে ছিল। গাড়ির ব্রেক ও ক্লাচ প্লেটের সমস্যা ছিল। গাড়ির মালিক ডাব্লিউ বেপারির ছেলে পারভেজ তাঁকে এ অবস্থায় গাড়ি রাস্তায় নামাতে চাপ দেয়। পারভেজ তাঁকে বলেন, ‘গাড়ি চালালে ঠিক হয়ে যাবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, তার চাপে শুক্রবার গাড়ি নিয়ে বের হন। গাড়িতে যাত্রী ছিল ৬০ জন। ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাওয়ার আগে গাড়ির গতি ছিল ৫৫ কিলোমিটার। ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ঢোকার আগে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। গাড়ির ব্রেক ফেল ছিল। গিয়ার কমিয়ে চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রণ হয়নি। পরে টোল প্লাজায় গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। তিনি গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যান।</p> <p>গত রবিবার চালক নুরুদ্দিন ও মালিক ডাব্লিউ বেপারিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুন্সীগঞ্জের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহমান আসামি নুরুদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপর আসামি ডাব্লিউ বেপারিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালত আসামি নুরুদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে একই আদালত অপর আসামি ডাব্লিউ বেপারিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। </p> <p>মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী নুরুল আমিনের বোনের পরিবার প্রাইভেট কারে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য দুপুর সোয়া ১১টার দিকে অপেক্ষায় ছিল। তাদের বহন করা গাড়ির সামনে মোটরসাইকেলে এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী ও সন্তানসহ টোল দিচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি টোল দেওয়ার সময় প্রাইভেট কারকে পেছন দিক থেকে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বেপারি পরিবহন ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়।</p> <p> </p>