<p>‘অন্যায্যভাবে’ গ্যাস, তেল, চালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও মোবাইল ফোন রিচার্জে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে জাগ্রত বাংলাদেশ (জেবিডি) ব্যানারে এই মশাল মিছিল করা হয়।</p> <p>সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিলকারীরা ‘অন্যায্য গ্যাসের দাম মানি না মানবো না’, ‘অন্যায্য তেলের দাম মানি না মানবো না’, ‘অন্যায্য চালের দাম মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম নতুন করে ১৫২ শতাংশ পর্যন্ত বা আড়াই গুণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গ্যাসের নতুন দরের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। প্রস্তাবটি এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) রয়েছে। প্রস্তাব অনুসারে নতুন কারখানার জন্য গ্যাসের দাম হবে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি ব্যয়ের সমান। ফলে নতুন কারখানাগুলোকে বর্তমান দরের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি দামে গ্যাস কিনতে হবে। পুরনো শিল্প-কারখানায় লোড বাড়াতে চাইলেও গুনতে হবে আড়াই গুণ মূল্য।</p> <p>বর্তমানে শিল্প-কারখানার গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কিনতে ৩০ টাকা এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে (শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎ) ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা দিতে হয়। গত সোমবার বিইআরসিতে পেট্রোবাংলার পাঠানো প্রস্তাবে প্রতি ঘনমিটারে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে পুরো গ্যাস বিল হবে নতুন দামে। পুরনোদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় থাকছে প্রস্তাবে।</p> <p>নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ায় শিল্প-কারখানার উদ্যোক্তারা বলছেন, এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে আর কোনো শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে না। গ্যাসের আড়াই গুণ মূল্যবৃদ্ধি হলে টিকবে না শিল্প খাত। এর মাধ্যমে শিল্পের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে। শিল্পে নতুন বিনিয়োগ আসবে না, কর্মসংস্থানও হবে না। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না। বড় ধরনের প্রভাব পড়বে রপ্তানি শিল্পে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।</p>