<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট শিপ টু শিপ কার্গো খালাসের মাধ্যমে শুরু হয় অপারেশনাল কার্যক্রম। তার পর থেকে বহির্নোঙরে কয়লা, পাথর ক্লিংকার, সার ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ আনা ও লাইটারেজ কার্যক্রমের মাধ্যমে সীমিত আকারে বন্দরটি চালু রয়েছে। প্রায় ৯ বছরে তিন হাজার ৩০৩টি জাহাজ বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন করেছে। এর মধ্যে ৪৯৪টি মাদার ভেসেল এবং দুই হাজার ৮০৫টি দেশি জাহাজ। এই সময় রাজস্ব এসেছে প্রায় এক হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পায়রা বন্দরে এত দিন নিজস্ব টার্মিনাল ছিল না। সম্প্রতি নির্মাণ হয়েছে প্রথম টার্মিনাল। ফলে ২০০ মিটারের তিনটি জাহাজ ৬৫০ মিটার দীর্ঘ জেটিতে একসঙ্গে ভিড়তে পারবে। একই সঙ্গে কনটেইনারাইজড কার্গো ও বাল্ক কার্গো হ্যান্ডল করা যাবে। বিদেশি জাহাজ পণ্য খালাস করতে পারবে। জাহাজ থেকে খালাস হওয়া পণ্য সড়ক পথে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকা থেকে সড়ক পথে এই টার্মিনাল হয়ে রপ্তানির কাজও করা যাবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সমুদ্রবন্দর ও নদী পথে হয়ে থাকে। তার মধ্যে ৮৭ শতাংশ চট্টগ্রাম এবং বাকি ১৩ শতাংশ পায়রা ও মোংলা বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। পায়রার এক পাশে মোংলা আরেক পাশে চট্টগ্রাম বন্দর। তাই পায়রা বন্দরের আলাদা গুরুত্ব আছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। তিন বছর পর ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট সমুদ্র বন্দরটিতে শিপ টু শিপ কার্গো খালাসের মাধ্যমে শুরু হয় অপারেশনাল কার্যক্রম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আসা জাহাজের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪০টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১০১টি মাদার ভেসেল এবং ৮৮২টি লাইটার ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য খালাস করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম গতিশীল রেখেছে সম্ভাবনাময় বন্দরটি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাবনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় এই টার্মিনালের জেটিতে একই সঙ্গে ২০০ মিটারের তিনটি মাদার ভেসেল ভেড়ানোর সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ৬৫০ মিটার দীর্ঘ মূল টার্মিনাল, তিন লাখ ২৫ হাজার বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ড ও ১০ হাজার বর্গমিটার কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশনের (সিএফএস) সুবিধা থাকছে এতে। এখন চলছে আনলোডার এবং ক্রেনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ। ব্যাকআপ ইয়ার্ডসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জেটিতেই এখন সরাসরি ভিড়তে পারবে মাদার ভেসেল। তবে ছয় লেন সড়কের কাজ অর্ধেকের বেশি শেষ হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রথম টার্মিনাল থেকে সড়ক পথে আন্ধারমানিক নদীর ওপর নজরুল ইসলাম সেতু দিয়ে আপাতত পণ্য পরিবহন করা হবে। তবে ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য খুব শিগগিরই ওই নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। আপাতত বন্দরের পণ্য সড়ক পথে পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গতি আরো আসবে বলেও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক বলেন, পায়রা অপারেশনাল বন্দর হিসেবে কাজ শুরু করেছে। এই বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে সিমেন্টের কাঁচামালসহ নানা পণ্য নিয়ে আসছেন। দিন দিন পায়রা বন্দরের কার্যক্রম বাড়ছে। এখন থেকে সড়ক পথে পণ্য পরিবনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফলে শুধু আমদানি নয়, এই বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>