<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরো কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে একে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপাদমস্তক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ঢেলে সাজানোর জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক সংস্কার কমিশন। এরই মধ্যে এই কমিশন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কমিশন (দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার) গঠন, আমলাতন্ত্র থেকে দুদককে রক্ষা, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দুদকের সঙ্গে অন্য সংস্থাগুলোর সমন্বয়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি সংস্থাটির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দুর্নীতির যথাযথ বিচারের বিষয়েও সংস্কার কমিশন গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ ছাড়া দুদককে আরো শক্তিশালী করতে একে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া, কর্মকর্তাদের কাজের প্রণোদনাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনাধীন। সংশ্লিষ্ট সব মতামত পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশন তাদের তৈরি করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুদক কিভাবে কার্যকর হবে, তার দিকনির্দেশনা, সুপারিশমালা ও পরামর্শ দেওয়া সংস্কার কমিশনের কাজ। আমরা সে অনুসারে কাজ করে যাচ্ছি। দুদক সৃষ্টির পর থেকেই সেখানে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন রাজনৈতিক বিবেচনায়। ফলে তাঁরা ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতিতে হাত দেওয়ার সাহস দেখাতেন না। একইভাবে দুদক সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালক পদেও অন্যান্য সংস্থা থেকে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগগুলোও হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। ফলে রাজনৈতিক লোকজন নিয়োগ পাওয়ায় কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তারা একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েন। নিজ সংস্থায়ই তাঁরা বৈষম্যের শিকার হন। আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তা। এতে দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হয়। দুদকের গুরুত্বপূর্ণ ওই পদগুলোতে কমিশনের নিজস্ব লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুদকের আইনি ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। আইনের কিছু কিছু ধারা সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া অর্থপাচার রোধে দেশে দুদকসহ সাতটি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কোনো প্রকার সমন্বয় নেই। দুদকের সঙ্গে অন্তত চারটি সংস্থার সমন্বয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশে দুদকের মতো সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রশিক্ষণ আরো বাড়াতে হবে। এরই মধ্যে কমিশনের যেসব নিজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর সুষ্ঠু অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, দুদককে আরো শক্তিশালী করতে একে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। এ ছাড়া দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের কাজের প্রণোদনাসহ আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা চলছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সন্তোষজনক কাজের জন্য তিন মাস যথেষ্ট নয়। চেষ্টা ছিল সময়ের মধ্যে যতখানি সম্ভব কাজ করা। পুরো কমিশন গঠনে চ্যালেঞ্জ ছিল। সরকারি হস্তক্ষেপ কম থাকায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরেও কমিশন দুটি অঞ্চলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। গবেষণাকাজ শেষ। এখন খসড়া প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ চলছে। কাজ করতে গিয়ে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। তার প্রতিকারে সুনির্দিষ্ট স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ থাকবে কমিশনের।</span></span></span></span></span></p>