<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অবিচারের সমাধান করে স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাসান নাসিরসহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিনকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ দাবি জানায় প্রতিনিধিদলটি। এর আগে  গত ৫ অক্টোবর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী-বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক বিশেষ সেমিনারে একই দাবি জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও নিপীড়িত হওয়া সশস্ত্রবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্যায্য আচরণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসরসহ আর্থিক বা সামাজিক হয়রানি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।  বলা হয়, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘকাল ধরে গুরুতর অবিচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে আসছেন। এই অবিচারের কারণে তাদের পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে এমন অবিচারের প্রতিকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা একটি স্বাধীন সামরিক সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করছি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, বর্তমানে পুরনো সামরিক আইন ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আধুনিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সংবিধানের ৪৫ অনুচ্ছেদ সামরিক সদস্যদের ন্যায়বিচারের সুযোগকে সীমিত করেছে এবং সামরিক বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এ জন্য সামরিক বিচার পর্যালোচনা, ২০০৯ সাল থেকে সব বিতর্কিত বরখাস্ত এবং কোর্ট মার্শাল পর্যালোচনা করা, যাঁরা অবিচারপূর্ণভাবে পদচ্যুত হয়েছেন তাঁদের পদোন্নতিসহ সব ধরনের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা, যাঁদের অবিচার করে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের পুনর্বহাল করা, পুনর্বহালকৃত কর্মকর্তাদের সরকারি বা সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেওয়াসহ অবিচারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান হাসান নাসির।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই সঙ্গে পুরনো সামরিক আইন ও বিধি বাতিল করে নতুন আইন প্রবর্তন, সামরিক সদস্যদের ন্যায়বিচারের সুযোগ বৃদ্ধি করতে সংবিধানের ৪৫ অনুচ্ছেদ সংশোধন ও সামরিক বিচারব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবি জানান তিনি।</span></span></span></span></span></p>