বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীর বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের লকারে রাখা তিনটি বাক্সে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা, এফডিআর ও সোনা উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের মামলার আসামি এস কে সুরের বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের লকারে তিনটি বাক্সে তল্লাশি চালানো হয়েছে। গত রবিবার দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
বাক্স তিনটি থেকে ৫৫ হাজার ইউরো, এক লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার, ৭০ লাখ টাকার এফডিআর ও এক হাজার ৫.৪ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মালপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি এস কে সুরের ধানমণ্ডির বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়।
এরও আগে ১৪ জানুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২৩ ডিসেম্বর এস কে সুর, তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক ‘নন-সাবমিশন’ মামলা করা হয়। সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির পরও নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদারের হাজারো কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুদকের অনুসন্ধানে এস কে সুরের নাম বেরিয়ে আসে। এরপর ২০২২ সালে এস কে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হয়।
ওই বছরের ২৯ মার্চ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এ ঘটনার মামলায় এস কে সুরের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দুদক জানিয়েছে।