সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের লুকিয়ে রাখা অবৈধ সম্পদের তথ্য সংবলিত দুই বস্তা নথিপত্র অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাজধানীর একটি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এ কে এম শহীদুল হক অসাধু পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন—এ অভিযোগে একটি অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধান কার্যক্রমের এক পর্যায়ে দুদক গোয়েন্দা তথ্য পায় শহীদুল হক তাঁর অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য সংবলিত নথিপত্র একজন নিকটাত্মীয়ের কাছে দুটি বস্তায় ভরে পাঠিয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্যে আরো জানা যায়, ওই নথিপত্র গোপন রাখার উদ্দেশ্যে তিনি আরেক আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়েছেন। এসব নথিপত্র শহীদুল কর্তৃক বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে—এমন তথ্য পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত পাঁচ সদস্যের একটি দল তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তল্লাশি করে দুটি বস্তায় মোট ৩৮ প্রকৃতির ৪৮টি আলামত পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিপুল মূল্যমানের সম্পদের দলিল, বিভিন গোপনীয় চুক্তিপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, সংঘ স্মারক, বন্ড ও এফডিআরের ছায়ালিপি, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণী ইত্যাদি। প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদের এই তথ্য অনুসন্ধান কার্যক্রমে সহায়ক হবে বিবেচনায় কমিশনের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে ওই সব আলামত জব্দ করেন।