ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকের মধ্যে বেশির ভাগ প্রেষণে অন্যত্র দায়িত্ব পালন করায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাঁরা মাস শেষে শুধু বেতন নেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। প্রেষণে থাকা চিকিৎসকদের ফিরিয়ে আনতে না পারলে উপজেলার মানুষকে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মাসুদ ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আহমেদুল হক তিতাস দায়িত্বে রয়েছেন।
এখানকার বাকি তিনজন ডা. আমেনা তালুকদার ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ মিরপুর জিওডি হাসপাতালে প্রেষণে সংযুক্তি রয়েছেন। অ্যানেসথেটিস্ট ডা. মোবাশ্বেরা সিদ্দিকা মিথি ২০২১ সালের ৩০ মার্চ থেকে প্রেষণে রয়েছেন ঢাকার কুর্মিটোলা ৫০০ শয্যার হাসপাতালে এবং ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার ডা. তাজনাহার বেগম গত বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে রয়েছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মেডিক্যাল সেন্টারে। ছয় লাখের বেশি মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল উপজেলার ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে প্রায় এক হাজার ২০০ আর আন্ত বিভাগে গড়ে প্রতিদিন ১০২ জন ভর্তি হয়ে থাকে। এ অবস্থায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক।
একই চিত্র রোয়াইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষ্ণনগর গ্রামের ২০ শয্যা হাসপাতালসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের সাতটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের। শুধু প্রেষণে সংযুক্তি নয়, এসব হাসপাতালের বেশ কিছু পদ শূন্যও রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মাসুদ বলেন, প্রেষণে থাকায় অন্য চিকিৎসকরা বদলি হয়ে আসতে পারছেন না।
এতে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপ নিতে হচ্ছে বর্তমান চিকিৎসকদের। প্রেষণে নিয়োগকৃতদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।