সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগে তিন পুলিশ ক্লোজড, তদন্ত কমিটি

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগে তিন পুলিশ ক্লোজড, তদন্ত কমিটি

সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে রংপুরের বদরগঞ্জ থানার একজন এএসআই ও দুজন কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগসহ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বদরগঞ্জ থানায় সাংবাদিক এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় থানার এএসআই রবিউল আলম, কনস্টেবল আলামিন হোসেন ও মজিবুর রহমানকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওসি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা দায়িত্বে অবহেলাসহ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফুল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, গত বুধবার থানা ক্যাম্পাসে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের মধ্যকার হট্টগোলের ছবি তুলতে গেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিক এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধর করেন। পরে চ্যাংদোলা করে ওসির সামনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে আবারও মারধর করা হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় তাঁর গায়ে থাকা জামা।

এরপর তাঁকে ওসির কক্ষে প্রায় চার ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। অভিযুক্তদের সঙ্গে মীমাংসা করে দেওয়ার নাটকও করেন ওসি। পরে সহকর্মীরা সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।

মারধরের শিকার সাংবাদিক এম এ সালাম বলেন, থানার প্রধান ফটকের সামনে শহীদ মেনাজ সংঘ পাঠাগারে বসে আমি নিউজ লিখছিলাম।

এ সময় বাইরে গণ্ডগোলের শব্দ শুনি। ক্লাব থেকে থেকে বের হয়ে দেখি পুলিশের পিকআপ ভ্যানে দুজন এবং বাইকে দুজন পুলিশ নিজেদের মধ্যে উচ্চবাচ্য ও হট্টগোল করছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও করতে থাকি। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা এএসআই রবিউল আমার মোবাইল ফোন ও ব্যাগ কেড়ে নেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে বাইকে থাকা দুজনের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানে থাকা দুজন নেমে আমাকে ব্যাপক মারধর করেন।
পরে তাঁরা চারজন মিলে আমাকে চ্যাংদোলা করে থানার ভেতরে নিয়ে গিয়ে ওসির সামনে ফেলে দিয়ে লাথি মারেন। আমি রোজা থাকায় শরীর খুব দুর্বল ছিল। আমি পুলিশকে অনুরোধ করি আমার ফোন দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি সেটা না করে আমাকে তাঁর রুমে নিয়ে যান এবং প্রায় চার ঘণ্টা সেখানে আটকে রাখেন।

বদরগঞ্জ থানার ওসি আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভুল-বোঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সমাবেশ

শেয়ার
সমাবেশ
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল শাহবাগে জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

ডিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯৩

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই দিনে মহানগরীর ৫০টি থানায় চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম জোরদার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন অপরাধে ১১৬টি মামলা করা হয়েছে। ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনে মহানগরজুড়ে দুই পালায় মোট এক হাজার ৩৩৪টি টহল টিম কাজ করে। এর মধ্যে ৬৮০টি রাতের ও ৬৫৪টি দিনের টহল টিম ছিল।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি ওবিই ডিনারেস জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত জিটুজি চুক্তির আওতায় তৃতীয় চালান হিসেবে এই চাল এসেছে। গতকাল শনিবার ঢাকায় সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্যবিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি ভিত্তিতে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চালানে ৩০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল এর আগে দেশে পৌঁছেছে।

মন্তব্য
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যে সরকারই আসুক শেখ হাসিনার বিচার করতেই হবে। কিন্তু এ জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর আসাদগেটে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড মিলনায়তনে ঢাকার সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ডক্টর ইউনূস সাহেব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন সম্মানিত ব্যক্তি।

তাঁকে অসম্মান করাটা ঠিক হবে না। তাঁকে সুযোগ করে দেওয়া হোক, অতি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে উনি চলে যান। এখন কেউ যদি বলে, হাসিনার বিচার যত দিন পর্যন্ত না হবে, নির্বাচন তত দিন হবে না! এখন হাসিনার বিচার কি আমরা চাই না? সে কি আমাদের নির্যাতন করেনি? হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে, যে সরকারই আসুক না কেন। এখন তাঁর বিচার যদি নির্বাচনের সঙ্গে ট্যাগ করা হয়..., তার বিচার হতে সাত বছর লাগবে।
তাহলে কি আমরা এই সাত বছর বসে বসে তামাক খাব? বললেই তো হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মতো কথা বললে তো হবে না। 

তিনি বলেন, দেখেন ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত গাছের পাতা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছিল। যেই সকাল বেলা খবর হলো শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব নিহত হয়েছেন, আওয়ামী লীগ কোথায় হাওয়া হয়ে গেল, কেউ খুঁজে পেল না।

আবার যদি এরও পেছনে যাই আমি, ৭০-এর নির্বাচনে জনগণের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তাদের নির্বাচিত করল। তার পরে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আলোচনা-সমালোচনা অনেক কিছু করেছে। ৭ মার্চের ভাষণ যদি শোনেন গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু ওই ভাষণে সমঝোতার কথা ছিল। ভাষণের শেষে গিয়ে বললেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা জয় পাকিস্তান। তো এইটা তো স্বাধীনতার ঘোষণা হলো না। তখন বলছিলেন আসুন বসুন, আলোচনা করুন পার্লামেন্টে আসুন, এটা কি স্বাধীনতার ঘোষণা? তার পর ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানিরা যখন হামলা করল, তখনো আওয়ামী লীগ নেই। নেই তো নেই। এই সাত কোটি মানুষ কী করবে? কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? কার কাছে আশ্রয় নেবে? এমপি-নেতা সব ভেগে গিয়েছিলেন। কেউ ছিলেন না। এই হলো আওয়ামী লীগ।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ