সংবিধান সংস্কারে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলটির প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম। তিনি আরো জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৫১টিতে একমত রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সংলাপে অংশ নেয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দার।
সংলাপ শেষে হাসনাত কাইয়ুম জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ১৫১টি প্রস্তাবে একমত, ১০টিতে আংশিকভাবে একমত এবং পাঁচটিতে একমত নয়। দলের পক্ষে অতিরিক্ত দুটি মতামত দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিমালা অন্য নামে রাখার কথা বলেছি।
বহুত্ববাদের পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতা যে অনুচ্ছেদ ছিল, ওখানে শিরোনামে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বলে বাকি আগে যা কিছু ছিল তা অক্ষুণ্ন রাখতে বলেছি।’
কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে গণভোটের মাধ্যমে গ্রহণ করবে, তাহলে আমরা সেটাকে গ্রহণ করতে রাজি আছি।’ তা ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।