<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে (শজিমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আট নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ছাত্রাবাসের পাঁচটি কক্ষ। ঘটনা তদন্তে কলেজ প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘদিন ধরেই মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই ধারায় বিভক্ত। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফ এবং অন্য পক্ষে সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনি। নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষে টানতে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রাতে ওই দুই নেতার অনুসারীরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাসের নিচতলার পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেন উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা। পাল্টাপাল্টি হামলায় অনিক, ধ্রুব, শুভ, হৃদয়, ইমতিয়াজ, অমিও, রেজা ও ফুয়াদ আহত হন।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়া শজিমেক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফ বলেন, ‘যে সময় সংঘর্ষ হয় তখন আমি বাইরে ছিলাম। নতুন ব্যাচে যারা ভর্তি হচ্ছে, তাদের থাকা এবং নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি নিজেও ক্যাম্পাসে ছিলাম না। পরে জেনেছি জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে সভাপতির সমর্থকরা আমার পক্ষের নেতাকর্মীদের মারধর করলে চারজন আহত হয়।’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শজিমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, ‘অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান ডা. সুুশান্ত কুমার সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়া মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আনিছার রহমান জানান, ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।</span></span></span></span></p>