<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিজ বাবার নাম ও তথ্য গোপন করে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে পিতা দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে বাবলু হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা নির্বাচন অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন উপজেলার দায়ারামপুর ইউনিয়নের ডুমরাই (ঢাকাপাড়া) এলাকার বাবলু হোসেন। ২০০৮ সালে তিনি ভোটার হন। জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২০০৮ সালে তাঁর পিতার নাম ছিল মো. তৈয়ব আলী ও মাতা জরিনা বেগম। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা নিজের নামে পাওয়ার জন্য ২০১৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে পিতা মো. তৈয়ব আলীর নাম পরিবর্তন করে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী শেখকে পিতা হিসেবে সংযোজন করেন। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন উভয় স্থানেই মাতার নাম জরিনা বেগমই রাখেন। এরপর ২০১৮ সাল থেকে বাবলু হোসেন নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় লোকজন জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী শেখ ১৯৭৯ সালে অবিবাহিত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।  তাঁর মৃত্যুর ছয় বছর পর বাবলু হোসেনের জন্ম হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী শেখ ব্যক্তিজীবনে অবিবাহিত ও তাঁর কোনো ওয়ারিশ না থাকায় তাঁর প্রাপ্য সম্মানী ভাতা পাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাবলু হোসেন এই জালিয়াতির আশ্রয় নেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়ার্ড মেম্বার আক্কাস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলীর কোনো স্ত্রী-সন্তান না থাকায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের লোকজনের সুপারিশেই সংশোধনী কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে বাবলু হোসেন জানান, ছোট বেলায় তাঁর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী শেখ তাঁকে পালিত পুত্র হিসেবে নেন। তাঁর প্রথম জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল করে জন্মদাতা পিতার নাম তৈয়ব আলী দিয়ে ফেলেন। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের সঙ্গে পালিত পুত্রের বিষয়টি বলে তাঁদের সহায়তায় পিতার নাম তৈয়ব আলীর পরিবর্তে আয়ুব আলী শেখ নামে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান জানান, বাবলু হোসেন জাতীয় পরিচয়পত্র যখন সংশোধন করেন, সেই সময় আজাদ হোসেন উপজেলা ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই বাবলু হোসেনের কাগজপত্র সংশোধনে সাহায্য করেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজাদ হোসেন জানান, সেই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। বাগাতিপাড়া ইউএনও অনামিকা নজরুল জানান, কাগজপত্রাদি দেখে ব্যবস্থা নেবেন।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>