<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেশবপুরের বুড়িভদ্রা নদী কচুরিপানায় ভরে উঠেছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধাগ্রস্ত হয়ে স্রোত হয়ে পড়েছে ক্ষীণ। আর এ কারণেই সৌন্দর্য হারাতে বসেছে বুড়িভদ্রা। একদিকে নদীটি সৌন্দর্য যেমন হারাচ্ছে, তেমনি এর জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে। সম্প্রতি নদী উপচে পানির সঙ্গে কচুরিপানা ঢুকে পড়েছে কৃষকের ফসলি জমিতে। এতে কৃষকও পড়েছেন বিপাকে। একসময় বুড়িভদ্রার স্বচ্ছ পানি দেখার জন্য নদী পারে দলবেঁধে আসত এলাকার মানুষ। কিন্তু এখন যত দূর চোখ যায় শুধু কচুরিপানা আর কচুরিপানা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নদীটি বড়েঙ্গার হরীহর নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে ২৬ কিলোমিটার দূরে ত্রিমোহিনী বাজারের পাশে কপোতাক্ষ নদে গিয়ে মিশেছে। সম্প্রতি নদী উপচে পানি ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ায় সঙ্গে কচুরিপানাও জমেছে কৃষকের জমিতে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান, তাঁর ফসলি জমিতে কচুরিপানা জমে উঁচু হয়ে আছে। জমি থেকে পানি নামলেও কচুরিপানা নামার কোনো সম্ভাবনা নেই। নদীর পানি নষ্ট হওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। কচুরিপানার কারণে নদীতে স্রোত না থাকায় দ্রুত নাব্যতাও হারিয়ে গেছে। নদীর পানি ঢুকে তাঁর ১০ কাঠ জমির আমন ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কচুরিপানা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলা বলেন, কচুরিপানার কারণে বুড়িভদ্রা তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। নদীতে স্বাভাবিক স্রোত বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বুড়িভদ্রার পানি এলাকায় ঢুকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সম্প্রতি নদীর পানি ঢুকে তাঁর ইউনিয়নের দোরমুটিয়া এলাকায় কৃষকের ফসলি জমিতে ঢুকে পড়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ হোসেন বলেন, নদীটির বিভিন্ন স্থানে কচুরিপানা জমে রয়েছে। কচুরিপানা অপসারণ করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে আবারও ভরে যায়।</span></span></span></span></p> <p> </p>