<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লার ১৪ উপজেলায় বন্যার পানি দ্রুত নেমে গেলেও জেলার দক্ষিণাঞ্চলের তিন উপজেলা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট থেকে বন্যার পানি সেভাবে কমেনি। এ জন্য শত বছরের পুরনো বেরুলা খাল ভরাট ও দখলকে দায়ী করছে স্থানীয় লোকজন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাকাতিয়া নদীর কুমিল্লার লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজারের দক্ষিণাংশের ফতেপুর গ্রামে প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেরুলা খালের উৎসমুখ। লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ হয়ে শত বছরের পুরনো খালটি মিশেছে নোয়াখালীর চৌমুহনী খালে গিয়ে। এরপর সেখান থেকে এই পানি যেত বঙ্গোপসাগরে। কিন্তু খালটি প্রায় পুরোপুরি ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন বন্যার পানি সরতে পারছে না। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয়রা বলছে, এই তিন উপজেলায় বন্যার পানি ভালোভাবে না নামার পেছনে অন্যতম কারণ বেরুল খাল দখল ও ভরাট। বেশির ভাগ স্থানেই খালটির অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ায় পানি সরতে পারছে না।  তাদের অভিযোগ, কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়ক চার লেন করার সময় খালটির অস্তিত্ব প্রায় মুছে ফেলেছে সওজ। এর পরই খালটি অবৈধভাবে দখল করে কেউ দোকান নির্মাণ করেছে, কেউ খালের অংশ দখল করে পুকুরের সঙ্গে একীভূত করেছে।  </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বেরুলা খাল পুনঃখননের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন। দাবির পক্ষে গত বুধবার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়ায় মানববন্ধন করে তারা।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজালা রানী চাকমা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা এ বিষয়ে দ্রুত  ব্যবস্থা নেব। খালটি দখলমুক্ত ও পুনঃখননের জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করবে।</span></span></span></span></p>