<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলায় সাম্প্রতিক সময়ের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ব্যাপক লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বেশির ভাগ ধানের চারা তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে চারার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে আমন আবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কৃষক। একদিকে আমন আবাদের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে আমনের চারার সংকট। আর এই সংকটের মধ্যে চারার দামও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় ভোলার কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। পানির কারণে কৃষকরা দুই-তিনবার আমন বীজ বুনেও আশানুরূপ চারা পাননি। আগস্টের মধ্যে ক্ষেতে চারা লাগিয়ে শেষ করার কথা থাকলেও সেপ্টেম্বরে এসেও এখনো অর্ধেক লাগানো শেষ করতে পারেনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর, স্থানীয় ৯ হাজার ৪১৬ হেক্টর ও হাইব্রিড ৭০ হেক্টর রয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত জমি থেকে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের টার্গেট নিয়েছে কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে লক্ষ্য পূরণে আমন আবাদের জন্য ২৬ হাজার কৃষককে পাঁচ কেজি করে বীজ ও ২০ কেজি করে বিভিন্ন রকম সার প্রদান করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে ভোলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান আবাদের জন্য কৃষকরা জমি চাষ করে প্রস্তুত করছেন। অনেকে জমিতে ধানের চারা লাগালেও এখনো বেশির ভাগ জমি ফাঁকা রয়েছে। অনেকে জমি প্রস্তুত করে আমনের চারা সংগ্রহের জন্য মাঠে নেমেছেন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও চারা পাচ্ছেন না বলে জানান তাঁরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক ছাদেক হাওলাদার জানান, তিনি এক কানি (১২০ শতাংশ) জমি তৈরি করেছেন আমন লাগানোর জন্য। প্রথমে ৩০ কেজি ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পানিতে একদফা নষ্ট হওয়ার পরে আবার ২০ কেজির বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু তার পরেও চারার সংকট। তিনি পাঁচ কেজি ধানের চারা সংগ্রহ করেছেন তিন হাজার টাকায়। তা দিয়ে সব জমিতে আমন লাগাতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমন রোপণের প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় চারার সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে কৃষকদের ফাঁকা করে চারা রোপণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেই পরামর্শ অনুযায়ী চারা রোপণ করছেন। এ ক্ষেত্রে জেলার বাইরে পটুয়াখালীর বাউফল ও কালাইয়া এলাকা থেকে কৃষকরা চারা কিনে এনেছেন। এ ছাড়া দেখা গেছে জেলার এক উপজেলায় চারার সংকট রয়েছে আবার অন্য উপজেলায় চারা বেশি রয়েছে। এভাবে আমনের চারার সংকট অনেকটা কমে এসেছে। আমরা আশাবাদী আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>