<p>বগুড়ায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে নানা ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত বগুড়ায় ১৮ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার সিনিয়র চার সাংবাদিককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। অন্যদের জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাঁরা গ্রেপ্তার ও হয়রানি এড়াতে পরিবার ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে একদিকে তাঁদের পেশা হুমকির মুখে পড়েছে, অন্যদিকে পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাংবাদিকদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।</p> <p>জানা গেছে, বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহরের ঝাউতলা এলাকা থেকে সদর থানায় হামলা ও লুটপাটের সময় পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চার পেশাদার সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকমের বগুড়ার স্টাফ রিপোর্টার জিয়া শাহীনের বিরুদ্ধে সমপ্রতি রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>জেলার এই পাঁচ সাংবাদিক ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে আরো ১৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শিবগঞ্জে চারজন, সারিয়াকান্দিতে একজন, নন্দীগ্রামে একজন, সোনাতলায় তিনজন, আদমদীঘিতে চারজন।</p> <p>উপজেলা পর্যায়ে মামলার আসামি করা হয়েছে কালের কণ্ঠ’র নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি ফিরোজ কামাল ফারুক, দৈনিক কালবেলার সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি মনজু মিয়া, যায়যায়দিনের শিবগঞ্জ প্রতিনিধি সোহেল আক্তার মিঠু, ভোরের দর্পণের মোকামতলা প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, দৈনিক উত্তরের দর্পণের মোকামতলা প্রতিনিধি আবু জাফর ইকবাল, দৈনিক জয় যুগান্তরের মোকামতলা প্রতিনিধি হাসান আলীকে।</p> <p>পেশাদার চার সাংবাদিককে হত্যা মামলায় আসামি করা এবং একজনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেওয়ায় বগুড়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।</p> <p>বগুড়ার নবাগত পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, মামলাগুলো তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিরপরাধ কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।</p>