<p>জনবল সংকটে ময়মনসিংহের ভালুকা ট্রমা সেন্টার থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না সেবাপ্রত্যাশীরা। ফলে দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দৌড়াতে হচ্ছে ঢাকার কোনো হাসপাতালে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের রোগীদের।</p> <p>স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের অবস্থান। সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও বিভিন্নভাবে আহত রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেন্টারটি চালু করা হয়। পরে অটোক্লেভ মেশিন, ডায়াথারমি মেশিন, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, এক্স-রে মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংযোজন ও আসবাব সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে এখান থেকে শুধু আউটডোর সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিদিন এক থেকে দেড় শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। বিভিন্ন সুবিধা থাকার পরও আরএমওসহ অন্যান্য জনবল সংকটে ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের ইনডোর সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নয়তো ঢাকার কোনো হাসপাতালে দৌড়াতে হচ্ছে।</p> <p>চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, এই হাসপাতালের আউটডোরে প্লাস্টার সেবা ছাড়া আর কোনো সেবা পাওয়া যায় না। কোনো রোগীর অপারেশনের প্রয়োজন হলে তাঁকে স্থানীয় ক্লিনিক, না হলে ময়মনসিংহে যেতে হয়।</p> <p>অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক হাসমত আলী জানান, ভালুকা ট্রমা সেন্টারে যে ধরনের আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা দিয়ে মাঝারি ধরনের সব রকম অ্যাক্সিডেন্টাল অপারেশনসহ অন্যান্য সেবা দেওয়া সম্ভব।</p> <p>উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসানুল হোসাইন বলেন, ‘ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টার থেকে প্রতিদিন শতাধিক রোগী আউটডোর সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন হাড়ভাঙা রোগীর প্লাস্টার করা হয়। জনবল সংকটে ইনডোর সেবা চালু করা যাচ্ছে না। অচিরেই অপারেশনসহ ইনডোর সেবা চালু হবে বলে আশা করছি।’</p> <p> </p>