<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক দফায় আক্রমণ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায়। ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় আক্রমণের সময় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিবার নিয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। বাঁচানোর জন্য মোবাইল ফোনে পরিচিতদের সাহায্য প্রার্থনা করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ কর্মকর্তা মুরাদ হোসেনের ফোনে ছুটে এসেছিলেন এনআরবিসি ব্যাংক আখাউড়া শাখার ব্যবস্থাপক মো. আরিফুর রহমান। কথা হলে আরিফুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, মাইদুল ইসলাম পাঠান ও শেখ তৌফিকুর ইসলাম তপু নামের দুজনকে সঙ্গে করে থানায় ছুটে এসেছিলেন তিনি। পাশের বাড়ি থেকে মই এনে এবং তারকাঁটা কেটে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট সন্ধ্যার পরের সেই আতঙ্কের কথা এখনো মনে পড়ে বলে জানালেন সেই বিপদগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পূর্বপরিচিত আরিফুর রহমানসহ যাঁরা তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছিলেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেই থানায় গেলে এখনো নাকে লাগে পোড়া গন্ধ। চারদিকে যেন ধ্বংসস্তূপ। থানার দুটি ভবনের দরজা-জানালার কাচ ভাঙা। বেশির ভাগ কক্ষ থেকেই যেন পোড়া গন্ধ বেরুচ্ছিল। পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ায় পর দু-একটি কক্ষে কিছু চেয়ার-টেবিল পাতা হয়েছে। পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলো যেন তাণ্ডবের সাক্ষী হয়ে আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">থানা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, পুলিশের ব্যবহার করত এমন দুটি গাড়ি, পুলিশের ব্যক্তিগত ২০ থেকে ৩০টি মোটরসাইকেল, থানায় থাকা মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানা ভবনে। ভাঙচুর চালানো হয় ব্যাপক।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে সোমবার দুপুরে দেখা যায়, প্রবেশমুখেই আগুনে পোড়া ও ভাঙচুরের শিকার একটি ট্রাক ও তিনটি পিকআপ ভ্যান পড়ে আছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢোকার পর ডানপাশের কক্ষটিতে পোড়া গন্ধ। এটিতে তিন-চারটি ভালো মোটরসাইকেল রাখা। ওই ভবনের সামনেই পুড়ে যাওয়া দুটি প্রাইভেট কার। বাঁ পাশে আরো বেশ কয়েকটি পোড়া গাড়ি। চারপাশের জানালার গ্লাস ভাঙা থাকা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোলঘরে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বসেই পুলিশের এক কর্মকর্তা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">থানার মূল ভবনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসার ইনচার্জ, ডিউটি অফিসার ও মুন্সীর বসার কক্ষ এবং লোকজন বসার কিছুটা উপযোগী করে তোলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি কক্ষ ঠিক করে তোলা হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলোতে যেন ভূতুড়ে পরিবেশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কথা হয় সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি নতুন ও একটি পুরনো পিকআপ বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা দিয়ে আপাতত বাইরের দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছে। এ ছাড়া একটি মাইক্রোবাস রিকুইজিশন করে কাজে লাগানো হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গণপূর্ত বিভাগ থেকে লোকজন এসে কী কী চাহিদা আছে সেটা জেনে গেছেন। এ ছাড়া যতটুকু সম্ভব থানার কক্ষগুলো অন্তত বসার উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার মধ্যেও সাধ্যমতো সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিমিয়কালে জানান, সদর থানা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। সদর দপ্তর থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের যথেষ্ট সাপোর্ট দেওয়ার।</span></span></span></span></p> <p> </p>