<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ৫০ দিন পর গত সোমবার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল মারা গেছে। রাতুলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু তার আগেই চলে গেল সবার প্রিয় রাতুল। রাতুলের মৃত্যুর পর গত বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমানের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছোট্ট রাতুল এখন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সে শুধু বগুড়ার নয়, গোটা দেশের সম্পদ। রাতুলের মতো সোনার টুকরা ছেলেদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সবাই মিলে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এ সময় তিনি শহীদ রাতুলের খুনিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাতুল বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম জিয়াউর রহমান। তাদের বাসা হাকিরমোড় ঘোনপাড়া এলাকায়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের খবরে শহরে বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। বিকেলে সেই মিছিলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। সেখানে রাতুলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার তার মৃত্যু হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে রাতুলের মা রোকেয়া বেগম ছেলের বই, কাপড়, খেলনা, আর্ট পেনসিল বক্সসহ প্রিয় জিনিস দেখছেন আর কাঁদছেন। একটু পরপর যে জিনিসগুলো রাতুলের সবচেয়ে বেশি পছন্দের, তা বের করে প্রতিবেশী ও স্বজনদের দেখাচ্ছেন আর সেগুলো জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, স্কেটিংয়ের জুতা রাতুলের খুব পছন্দের। প্রতিদিন স্কেটিং শেষে যত্ন করে রেখে দিত। অবসরে খেলাধুলা ও বই পড়ার নেশা ছিল রাতুলের। মৃত্যুর আগের রাতে ভিডিও কলে আমাকে বলল, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। কবে আসবা?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ছেলের কথা শুনে আমি সোমবার বিকেলে ঢাকার পথে রওনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এরই মধ্যে ভোরে খবর পাই, সে আর নেই।</span></span></span></span></p> <p> </p>