<p>অভাবের সংসার, থাকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। পরিবারের সুদিন ফেরাতে রিকশাচালক বড় ভাই হামজার সঙ্গে লেখাপড়া ছেড়ে শরীফ উদ্দিন (১৭) কুমিল্লায় গিয়েছিল রিকশা চালাতে। দুই ভাই মিলে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাত। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে অন্যদের সঙ্গে শরীফও গিয়েছিল আনন্দ মিছিলে। গুলিতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। এখন চিকিৎসার অভাবে বিছানায় কাতরাচ্ছে সে।</p> <p>লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের সানিয়াজান নদীর চরে নির্মিত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শরীফ উদ্দিনের পরিবার। বাবা নেই, দুই ভাই ও মাকে নিয়ে তাদের সংসার।</p> <p>শরীফ উদ্দিন বলে, ‘হাতে গুলি লাগলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এই সুযোগে আওয়ামী লীগের লোকজন এসে রড ও লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। আঘাতে আমার হাত, পিঠ ও মাথা থেঁতলে গেছে, ফেটে গেছে বাঁ পায়ের হাড়।’</p> <p>শরীফের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘গুরুতর অবস্থায় শরীফকে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ব্যান্ডেজসহ সামান্য চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু হাতের বুলেট বের করা হয়নি।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘বড় ছেলে রিকশা চালিয়ে যে টাকা পাঠাচ্ছে, তা দিয়ে সংসারই চলে না। এখন ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না, টাকার অভাবে হাতের গুলিও বের করা যাচ্ছে না।’</p> <p> </p>