<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচখাল সংস্কার না করায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় অন্তত ২৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক বর্ষা মৌসুমে আমন আবাদ করতে পারছেন না। স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ওই এলাকার চার হাজার হেক্টর জমিতে ১৮ হাজার টন আমন ধান উৎপাদন করা সম্ভব। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে শৈলকুপার জালশুকা, বাদাপাড়া, চরপাড়া, হাকিমপুর, দোহারো, বড়িয়া, বগদিয়া, জালশুকা, মাদলা, পাইকপাড়া, কৌপাড়া, সাধুহাটি, নাগপাড়া, নৌপাড়া, হরিহরা, মনোহরপুর ও দামুকদিয়াসহ অন্তত ২৫ গ্রামের মাঠের পানি ঠিকমতো বের হতে পারে না। ময়লা-আবর্জনার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে আমন মৌসুমে কৃষকরা আবাদ করতে পারেন না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, পাতকুড়ার বিলসহ আরো দুটি বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য খননকৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচখাল দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় পুনঃখনন না করায় এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করছেন, সেচখাল সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। খুব দ্রুতই খননকাজ শুরু করা হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিন জলশুকা, বাদপাড়া ও বড়িয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আবাদ উপযুক্ত জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেনেজ খাল ভরাট হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে খালের মুখ। জলাবদ্ধ আমন ক্ষেত থেকে শ্যাওলাসহ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছেন কৃষকরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বড়িয়া গ্রামের কৃষক ঈমান আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রত্যেক বর্ষায় আমাদের সমস্যা হয়। সেচখাল দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এই সমস্যা হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কয়েক বছর ধরে লিখিতভাবে জানিয়েও আমরা কোনো সমাধান পাইনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার ওহিদুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্ষা মৌসুমে আমার এলাকার কয়েক গ্রামে জলাবদ্ধতার কারণে আমন চাষ করতে পারেন না কৃষকরা। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ডের শৈলকুপা শাখা অফিসার (এসও) বিকর্ণ কুমার বিশ্বাস জানান, পাট জাগ দেওয়ার সময় চাষিরা খালের পানিতে কলাগাছ, মাটিসহ নানা উপকরণ ব্যবহার করে। সে কারণে খাল ভরাট হয়ে যায়। ফলে খাল ও আশপাশের জমির জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কমান্ডিং এরিয়ার কুষ্টিয়া, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সেচখাল, ড্রেনেজ, ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা ও স্লুইস গেট নির্মাণের জন্য সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে একটি আবেদন করা হয়েছিল। প্রি-একনেক সভায় তা এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাজ শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p>