<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে নানা আকারের ইলিশ মিলছে। কিন্তু দাম আকাশছোঁয়া। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ আর গন্ধ অধরা। এ নিয়ে ক্রেতাদের রয়েছে নানা অভিযোগ। সিন্ডিকেট করে ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে। এতে ইলিশ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মানুষ। শুধু তাই নয়, যে জেলেদের শ্রম এবং ঘামে সাগর-নদীতে ধরা পড়ছে ইলিশ, সেই জেলেরাও নায্য দাম থেকে বঞ্চিত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁদপুর বড় স্টেশন দেশের অন্যতম পাইকারি ইলিশের বাজার। এই বাজারে পাইকার এবং খুচরা বিক্রেতারাই আকারভেদে ইলিশের দরদাম নির্ধারণ করেন। তবে এ নিয়ে ভিন্ন কথা মাছ ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য, এমন ভরা মৌসুমে যেখানে প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশের জোগান ছিল বড়স্টেশনে, সেখানে এখন ৩০০ থেকে ৫০০ মণ ইলিশ আসছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল দুপুরে চাঁদপুর বড়স্টেশন ইলিশের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় মিলিয়ে মাত্র ৩০০ মণ ইলিশ। যার বেশির ভাগ জোগান দেওয়া হয়েছে উপকূল থেকে। মাছ ব্যবসায়ী সুমন খান জানান, অন্য বছর এই সময় দুই হাজার মণের বেশি ইলিশের সরবরাহ ছিল এই বাজারে। অথচ এখন অনেক কম। সংগত কারণে বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় উপকূল থেকে ইলিশ নিয়ে আসা বেপারী এবং জেলেরা দামও হাঁকছেন বেশি। বুধবার এক কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২১০০ টাকা। তার চেয়ে বড় আকারের ২৫০০ টাকা। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১২০০ টাকা এবং ২৫০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৭০০ টাকা। আরেক মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট বেপারীও একই দরদাম জানালেন। লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরআলেকজান্ডারের আরেক বেপারী জয়নাল মাঝি। তিনি জানান, অন্য জায়গার চেয়ে চাঁদপুরের বাজার ভালো। তাই ইলিশের চালান নিয়ে আসেন তিনি। তবে আগের মতো ধরা না পড়ায় জেলেদের কাছ থেকে সামান্য যা পাওয়া যায় তা নিয়েই ছোটেন বড়স্টেশনে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরতে না পেরে জেলেদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তার মধ্যে শুরু হচ্ছে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা বেকার হবেন এই জনপদের প্রায় অর্ধলাখ জেলে। তাঁদেরই একজন জেলার হাইমচরের চরভৈরবীর জেলে আমিন উল্যাহ। জানালেন, মাছ ধরার নৌকার ইঞ্জিনের জ্বালানি খরচ এবং সঙ্গে আরো ছয়জন মিলে দিনের অর্ধেক সময় জাল ফেলেও ৮-১০টি ইলিশ পাওয়া কঠিন। তাঁর মতো আরো অনেকের একই দশা। চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাটের জেলে আল আমিন ছৈয়াল বলেন, আগের মতো ইলিশ মিলছে না পদ্মা ও মেঘনায়। এতে ধারদেনা করে চলতে হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি বাজারে সিন্ডিকেট করে ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হয় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত বলেন, বড়স্টশনে উন্মুক্ত ডাক তোলা হয়। তাই এখানে দাম বাড়িয়ে লুকোচুরি করার তো কোনো সুযোগ নেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, জেলেরা নদী ও সাগর থেকে মাছ ধরছেন। এতে তাঁদের জাল ও নৌকার খরচ ছাড়া অন্য কোনো বিনিয়োগ নেই। যেমনটা খামারি কিংবা কৃষক চাষবাস, লালন-পালন করতে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এখানে তার উল্টো। তাই নদী ও সাগরের উন্মুক্ত জলাশয় থেকে ধরা প্রাকৃতিক মাছ ইলিশের দরদাম বাড়াতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে থাকতে পারেন। এই বিষয় মাছ ব্যবসায়ীদের নমনীয় হতে অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>