<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর ওপর পারাপারের জন্য নির্মিত সেতুটি অবশেষে ভেঙে পড়েছে। উদ্বোধনের আগেই সেতুটির কয়েকটি পিলার গত জুনে দেবে গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর স্রোতের টানে সেতুর প্রায়  অর্ধেক ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার মানুষ মালপত্রসহ নৌকা দিয়ে যাতায়াত করত। নৌকার জন্য যাত্রীদের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। সুন্দরগঞ্জ সদর ও জেলা শহরে যেতে রোগী, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা পড়ত চরম বিপাকে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিবির অর্থ থেকে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নকশায় কংক্রিটের খুঁটির ওপর ৩৪৪ ফুট দীর্ঘ ও পাঁচ ফুট প্রস্থ কাঠের সেতু নির্মাণের জন্য ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদারকে টাকা ছাড় করেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০২৪ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত কাজ না করেই প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগসাজশে টাকা তুলে নেন ঠিকাদার গাইবান্ধার সাঘাটার শাহানুর ইসলাম ছানা ও সাবঠিকাদার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার সাগীর খান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার রহমানের দাবি, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও নকশা মোতাবেক কাজটি না করায় বন্যার স্রোতে খুঁটি দেবে গিয়ে অবশেষে তা স্রোতে ভেসে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবঠিকাদার সাগীর খান জানান, প্রকল্পটির মূল ঠিকাদার সাঘাটার  ছানা মিয়া। সাবঠিকাদার হিসেবে তিনি কাজটি শুরু করেন। কাজ শেষ না হতেই বন্যা শুরু হয়। তিস্তা নদীতে খরস্রোতের কারণে খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে দেবে যায়। নকশা মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। দেবে যাওয়ার বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফের বন্যার স্রোতে মঙ্গলবার সেতুর অর্ধেক ভেসে যায়।</span></span></span></span></p>