<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চকরিয়ার বদরখালীর সমুদ্র মোহনাঘেঁষা এলাকায় উপকূলে সৃজিত প্যারাবন উজাড় করে চিংড়িঘের তৈরির ঘটনায় আদালতের নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে প্রকৃত দখলদারদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হলেও আট মাস পর প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিদর্শক ফাইজুল কবির। দাখিল করা এই প্রতিবেদনে প্রকৃত দখলদারদের নাম স্থান পায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরই মধ্যে ওই কর্মকর্তা কক্সবাজার থেকে অন্যত্রও বদলি হয়ে গেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উপকূলীয় বদরখালী সেতুর পূর্বাংশে মাতামুহুরী নদীতীরের ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ মিটার প্রস্থের জায়গায় অন্তত ২০০ বাইন ও কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে। এরপর সেখানে চিংড়িরঘের নির্মাণের জন্য দুই ফুট উচ্চতার একটি বাঁধ দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে প্যারাবন নিধনের সঙ্গে জড়িত ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বিষয়ে প্যারাবন সৃজনকারী সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) কক্সবাজারের আঞ্চলিক সমন্বয়ক খান জয়নাল আবেদীনের দাবি, ওই দিন ফজরের আজানের সঙ্গে সঙ্গে শতাধিক লোক (শ্রমিক) নেমে পড়েন প্যারাবন নিধনযজ্ঞে। কয়েক হাজার গাছ কাটার পর চিংড়িঘের তৈরি করেন প্রভাবশালীরা। আদালতের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত কার্যক্রম শুরু করলে দখলদার এবং প্যারাবন উজাড়কারী ৪০ জনের একটি তালিকাও দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত দখলদারদের বাদ দিয়ে খেটে খাওয়া ১৩ জনের নামে আদালতে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চকরিয়া আদালত সূত্র জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিদর্শক ফাইজুল কবির আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্যারাবন উজাড় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে আদালতের বিচারক জাহিদ হোসাইন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারকে নির্দেশ দেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বলেন, উবিনীগ যেসব ব্যক্তির নামের তালিকা দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিনের ভাষ্য, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদি আদালত ফের তদন্তের আদেশ প্রদান করেন, তাহলে নতুন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>