<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। সম্প্রতি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে ভাঙনের তীব্রতা। অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে বনের স্থলভাগের আয়তন। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বহু স্থাপনা। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদীর তীরবর্তী পূর্ব বন বিভাগের ১৪টি স্থাপনা এবং কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র (সাইক্লোন শেল্টার)। ঝুঁকিতে থাকা এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে চারটি স্টেশন, ১০টি টহল ফাঁড়ির পাকা অফিস ভবন ও ঘর, দুর্যোগের সময় বনকর্মী ও জেলেদের নিরাপদে থাকার জন্য দুটি আশ্রয়কেন্দ্র।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পর্যটকরা জামতলা সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে একই সঙ্গে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের যে নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকন করত, সেই জামতলা সৈকতও ভাঙনের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে সৌন্দর্য হারিয়েছে কটকার ঝাউবন ও হরিণের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র কেওড়াবনেরও। ভাঙনে দর্শনীয় এসব স্থানের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদেরও আগ্রহ কমছে দিন দিন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জীববৈচিত্র্যের আধার এই সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ছয় হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমািটার। এর মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪২.৬ বর্গকিলোমিটার। আর জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪.১ বর্গকিলোমটার। এর মধ্যে রয়েছে প্রবহমান ৪০০টি ছোট-বড় নদ-নদী ও খাল। সুন্দরবনসংলগ্ন সমুদ্র এলাকার পরিমাণ এক হাজার ৬০৩.২ বর্গকিলোমিটার। বিশ্বের এই বৃহৎ জলাভূমি আন্তর্জাতিকভাবে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রামসার এলাকা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে স্বীকৃত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গোপসাগর ও বনের নদ-নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়া বন অফিসগুলো হচ্ছে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শুঁটকি পল্লী খ্যাত দুবলারচর, শ্যালারচর, আলোরকোল, কোকিলমুনি টহল ফাঁড়ি, বগী স্টেশন, শরণখোলা স্টেশন, কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্র, কচিখালী অভয়ারণ্য স্টেশন, চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি এবং চাঁদপাই রেঞ্জের ঝাঁপসি টহল ফাঁড়ি, শুয়ারমারা টহল ফাঁড়ি, জোংড়া টহল ফাঁড়ি, হারবাড়িয়া স্টেশন এবং করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছবুর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় ১০ বছর ধরে ভাঙনের শিকার হচ্ছে স্টেশন। এ সময়ের মধ্যে একটি দোতলা পাকা ভবন, একটি কাঠের ঘর, বিশাল একটি পুকুরসহ কয়েক একর বনভূমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরজিত চৌধুরী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক বছর আগে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগে বালু ভরে ডাম্পিং করা হলেও তা কাজে আসেনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ওয়াসিউল ইসলাম বলেন, প্রকৃতিকে প্রতিরোধ করা অসম্ভব। বনের অফিস এলাকায় ব্লক অথবা জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে সাময়িকভাবে রক্ষা করা যায়। স্থায়ী রোধ করতে হলে এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা প্রয়োজন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>