<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৌনে তিন কোটি টাকার সরকারি বালু কিনে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মো. মামুনুর রশিদ নামের এক ইজারাদার। ইজারা ডাক না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সর্বনিম্ন ডাকধারীদের হুমকি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়ার কারণে মামুনুর রশিদ বালুরঘাট এলাকায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শনিবার প্রেস ক্লাব নান্দাইলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি তাঁর ব্যাবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। মামুনুর রশিদ লিখিত বক্তব্যে জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ খননে উত্তোলিত বালুর নিলাম ডাক অনুষ্ঠিত হয়। এই ডাকে তিনিসহ জেলার ১২ জন ঠিকাদার অংশ নিয়েছেন। নিলাম ডাকে তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন। ভ্যাটসহ দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চররামমোহনপুর বালুরঘাটে রাখা বালু কেনেন তিনি। নিলামের মোট মূল্যের মধ্যে ৬০ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দিয়েছেন। মামুনুর রশিদ জানান, নিলামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা (এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা) ছিলেন আলম ট্রেডার্স ও তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা (এক কোটি ৩৩ লাখ) ছিলেন আবদুস সাত্তার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামুনুর রশিদ আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রয় করা বালু পরিবহন করতে হবে জেলার ত্রিশাল উপজেলা বালিপাড়া সড়ক দিয়ে। কিন্তু তৃতীয় দরদাতা আবদুস সাত্তার বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি এলাকার লোকজনকে নানা কথা বলে তাঁর (ঠিকাদার মামুনুর রশিদ) বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন। তিনি তাঁর লোকজনকে বলছেন, নান্দাইলের কোনো ঠিকাদারকে চররামমোহনপুর বালুমহালে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা প্রশাসন ও ঠিকাদারদের সূত্রে জানা যায়, নাব্যতা ফেরাতে ২০২০ সালে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন শুরু হয়। খননের সময় উত্তোলন করা বিপুল পরিমাণ বালু নদের দুই পারে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেই বালু নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়। মামুনুর রশিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে সর্বনিম্ন ডাকধারী ত্রিশালের আবদুস সাত্তারকে গত শনিবার সকাল, দুপুর ও বিকেলে একাধিকবার কল করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম জানান, এখন ইজারাদারের উচিত থানায় অভিযোগ করা। অভিযোগের কপি পুলিশ সুপারকে (এসপি) দিলে বলা হবে যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>