<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোরগঞ্জের সঙ্গে নেত্রকোনার সংযোগ করেছে বর্নী নদীতে নির্মিত সেতুটি। তবে সেতু উদ্বোধনের আগেই অ্যাপ্রচ দেবে গেছে। ঠিকাদারের অনিয়ম ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই সেতুর অ্যাপ্রচের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বারবার প্রতিবাদ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। উল্টো ঠিকাদারের লোকজন স্থানীয়দের নানা হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মদন উপজেলা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল ও নেত্রকোনার মদন উপজেলার সীমান্তে বর্নী নদীর ওপর সেতু না থাকায় তিনটি উপজেলার মানুষ দুর্ভোগে ছিল। নদীর উত্তরে তাড়াইলের ধলা ইউনিয়নের ধলা গ্রাম ও দক্ষিণে মদনের ফতেপুর ইউনিয়নের ধানকুনিয়া গ্রাম। এ স্থানে এসে তাড়াইল-মদন সড়ক দ্বিখণ্ডিত হয়ে ছিল। সারা বছর তাদের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় নদী পারাপার হতে হয়েছে। সম্প্রতি তাড়াইল ও মদন উপজেলার প্রশাসন বর্নী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন পাঠায়। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২০১৮ সালের ৮ মার্চ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে কিশোরগঞ্জের পিপিএল চ্যালেঞ্জার নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কথা ছিল দেড় বছরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের চার বছরের বেশি হলেও নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। গত রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ১৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের বর্নী নদীর মূল সেতুর কাজ শেষ। তবে সেতুর ওপর ব্যবহৃত পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। সেতুর দুই পাশের অ্যাপ্রচে বড় বড় ফাটল ধরে ধসে গেছে। সেতু সংযোগ সড়কের নিচের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটির পশ্চিমপারের অ্যাপ্রচের পিলার ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। নির্মাণকাজে এমন অনিয়মের কারণে সেতুটির স্থায়িত্বকাল নিয়েও স্থানীয় লোকজনের মনে এখন নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।    </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম, আব্দুল জব্বার, ফরিদ চৌধুরী, আলম মিয়াসহ অনেকেই জানান, এই সেতুটির নির্মাণকাজে শুরু থেকেই অনিয়ম করে ঠিকাদার। প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীকে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মদন উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া পিয়াল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফেব্রুয়ারি মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অ্যাপ্রচের ব্লক ও পিলার ধসে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে এগুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য। ঠিকাদার এখনো পুরো বিল পায়নি। অ্যাপ্রচসহ যেসব কাজ এখনো বাকি আছে সেগুলো মেরামত না করলে বকেয়া বিল দেওয়া হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বক্তব্য জানতে কিশোরগঞ্জের পিপিএল চ্যালেঞ্জার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ম্যা কৃত্তিবাসের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>