<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হেমন্তের শুরু হতে না হতেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে শীতের আবহ। দিনে গরম থাকলেও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। আর আবহাওয়ার এ পরিবর্তনের সঙ্গে প্রান্তিক এই জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩৭ জন চিকিৎসকের পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র ১১ জন। ১০০ শয্যার বিপরীতে হাসপাতালটিতে বর্তমানে প্রতিদিন তিন গুণের বেশি রোগীর চাপ সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। বহির্বিভাগেও দৈনিক সেবা নিচ্ছে সহস্রাধিক রোগী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ষাটের দশকে পঞ্চগড় মহকুমায় ক্ষুদ্র পরিসরে নির্মিত পঞ্চগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১৯৮৪ সালে জেলা ঘোষণার পর উন্নীত হয় ৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে। এরপর ২০০৫ সালে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়ে পরিণত হয় আধুনিক সদর হাসপাতালে। এর পর থেকেই শুরু হওয়া চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবলসংকট আজও ঘোচেনি। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রথম ফটক থেকেই শুরু হওয়া ভিড় রয়েছে হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে, সর্বত্র। চিকিৎসকরা জানালেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগেই দৈনিক সেবা নিচ্ছে অন্তত এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ মানুষ। ভেতরের অবস্থা আরো নাজুক। ১০০ শয্যার বিপরীতে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৯২ জন। শয্যা না থাকায় বেশির ভাগ রোগীকে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় আসন পেতে সেবা নিতে হচ্ছে। এদিকে রোগীর চাপ তিন গুণ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসকদের ৩৭টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১১ জন। এর মধ্যে একজন মেডিক্যাল অফিসার, জরুরি মেডিক্যাল অফিসার একজন, সহকারী সার্জন দুজন, ডেন্টাল সার্জন একজন, কনসালট্যান্ট পাঁচজন ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার একজন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবুল কাশেম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে দৈনিক এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে এবং ভেতরে ১০০ শয্যার বিপরীতে তিন শতাধিক মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ আমাদের চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১১ জন। তবে ২৫০ শয্যার ভবন নির্মিত হলেও জনবল ও জিনিসপত্র না থাকায় সেটি চালু করা যাচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>