<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাওলানা মাহমুদুল হাসান শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বার্তা দিতেন, ভিডিও পোস্ট করতেন। ৫ আগস্ট স্ত্রী-সন্তানকে মা-বাবার কাছে রেখে বের হন আন্দোলনে যোগ দিতে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোলাগুলি হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জানানোর কিছুক্ষণ পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মাহমুদুলের। এক দিন পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হুসাইবা নামের ৯ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে মাহমুদুলের। বাবা বেঁচে নেই সেটা বুঝে ওঠার বয়স হয়নি হুসাইবার। মোবাইল ফোনে ছেলের ছবি দেখে এখনো কেঁদে ওঠেন মা। মাহমুদুলের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন বাবাও।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট রাজধানী উত্তরা এলাকায় গুলিতে শহীদ হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তিনি উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তাঁর পরিবার রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করত। গাজীপুরের কাপাসিয়া চাঁদপুর বাজার মসজিদের খতিব ছিলেন তিনি। বিয়ে করার পর স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেও থাকতেন। মাঝেমধ্যে মা-বাবার সেবা করতে স্ত্রীকে উত্তরায় পাঠিয়ে দিতেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন ভাইয়ের মধ্যে মাহমুদুল ছিলেন সবার বড়। অন্য দুই ভাই ঢাকায় মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। সংসার চালাতে মাহমুদুলেরও বেশ ভূমিকা ছিল। এখন পুরো পরিবারের দায়িত্ব বাবার কাঁধে। শহীদ পরিবারে চাকরি দেওয়ার সরকারি ঘোষণায় খুশি মাহমুদুলের পরিবার। তবে মাহমুদুলের স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তাদের যেন চিন্তার শেষ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট উত্তরায় গোলাগুলি চলার কথা সে জানালে তাকে একটু দূরে থাকতে বলি। কিছুক্ষণ পর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সে শহীদ হয়েছে, সেটা বুঝতে পারিনি। পরের দিন জানতে পেরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মাহমুদুলের লাশ শনাক্ত করি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি জানান, ৫ আগস্ট স্ত্রী-সন্তানকে গাজীপুর থেকে উত্তরার বাসায় নিয়ে এসে আন্দোলনে যোগ দিতে বের হন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাহমুদুলের ৯ মাসের সন্তান এখনো বুঝে উঠতে পারেনি বাবা বেঁচে নেই। মাহমুদুলের মা মোবাইল ফোন ছেলে ছবি দেখলেই কেঁদে উঠে। তার স্ত্রীও ভেঙে পড়েছে। মাহমুদুলের স্ত্রী-সন্তানকে কিভাবে কী করব এ নিয়ে চিন্তায় আছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>