<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুমার নদের জমি দখল করে পুকুর খনন ও ইটভাটা নির্মাণ করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা। স্থানীয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এদিকে নদের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে পুকুর খনন ও ইটভাটা নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের সমস্যা হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই ইটভাটার আশপাশের এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের। নদটি দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ঝিনাইহের শৈলকুপা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে একসময়ের খরস্রোতা নদ কুমার। উপজেলার মহেশপুর গাড়াখোলা গ্রামে কুমার নদের অন্তত ৩০ বিঘা জমি দখল করে ইটভাটা নির্মাণ ও মাছ চাষের জন্য কয়েকটি পুকুর খনন করেছের যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয়রা জানায়, দুই দশক আগে নদের পার বালু দিয়ে ভরাট করে সেখানে ইটভাটা নির্মাণ করে যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন। ইটভাটার পাশে নদের কয়েকটি পুকুর খনন করে সেখানে মাছ চাষ করছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তদন্ত করলেও রহস্যজনকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাড়াগঞ্জ সেতুর পশ্চিম পাশে মহেশপুর গাড়াখোলা গ্রামে কুমার নদের জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে শীলা ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা। ইটভাটার সামনে নদের জমিতেই পাঁচটি পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শামীম হোসেন মোল্লা। ২০১২ সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন তিনি। এরপর দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্ম করতে থাকেন। শৈলকুপার প্রাণ হিসেবে খ্যাত কুমার নদের জমি পর্যন্তও দখলে নিয়েছেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শামীম মোল্লা নদীর জমি দখল করে ইটভাটা করেছে। বছরের পর বছর ধরে নদীর জায়গায় পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে। কয়েক মাস আগে উপজেলা প্রশাসন এ নিয়ে তদন্ত করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেক বাসিন্দা গোলাম নবী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শামীম মোল্লা দখলের মহারাজ হয়ে উঠেছিল। তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি কুমার নদ। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে টিকিয়ে রেখেছে তার দখলদারিত্ব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই অভিযোগের বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইটভাটাসহ ওই জায়গায় যে স্থাপনাগুলো আসে সেগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নদ-নদীর জায়গা দখল করে যাঁরা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>