<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে এবার খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নগরীতে বসানো হলো বিনা লাভের দোকান। আপাতত নগরীর ছয়টি পয়েন্টে এই বাজার বসেছে। তবে পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই এই দোকান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত নগরীর শিববাড়ি, বয়রা বাজার মোড়, নতুনবাজার মোড়, গল্লামারী হল রোড মোড় এবং দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পাঁচটি স্থানে এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই পাঁচটি ছাড়াও খালিশপুর বিআইডিসি রোডের চিত্রালী মার্কেটে এই দোকান বসে। এরপর প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনা লাভের দোকান বসবে বলেও আয়োজকরা জানান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারের চেয়ে কমমূল্যে পণ্য কিনতে পেরে ক্রেতারাও অনেকটা খুশি। নগরীর নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী শওকত আলীর বাসা আমতলা এলাকায়। তিনি সকালে ৭৫ টাকা কেজি দরে চার কেজি পেঁয়াজ কেনেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হৃদয় ঘরামি নামের উদ্যোক্তা বললেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সবার সহযোগিতা নিয়ে বিনা লাভের দোকানগুলো চলছে। যাতায়াত ভাড়াসহ যে টাকায় পণ্য কেনা পড়ছে সেই টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং করতে গিয়ে তারা যে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য দেখেছেন সেটি ভাঙতেই মূলত এমন উদ্যোগ বলেও তিনি জানান। ফলে যেমন মধ্যস্বত্বভোগীরা অধিক লাভ করতে পারবে না তেমনি ক্রেতারায় কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারছেন। প্রথম দিনে সকালের পর্বে পয়েন্টগুলোতে প্রায় ৮০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদিন ৯টি পণ্য বিক্রি করা হয়। ডাল ১০৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, লাউ (প্রতি পিস) ৪০ টাকা, লাল শাক ৩০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁচাঝাল ১৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৭৫ টাকা এবং রসুন ২১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলেও জানান এ উদ্যোক্তা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাজার মনিটরিং টিমের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এমন উদ্যোগে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে বেশ সাড়া মিলছে। তবে সবার দাবি বিক্রয়কেন্দ্রগুলো বৃদ্ধির। পর্যায়ক্রমে নগরীর সব ওয়ার্ডে পয়েন্টগুলো সম্প্রসারণ করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ১৮ অক্টোবর নগরীর শিববাড়ি মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে বিনা লাভের দোকান দিয়ে বেশ সাড়া মেলে বলেই গতকাল (রবিবার) থেকে নগরীর ছয়টি স্থানে নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু পণ্য বিক্রি শুরু হয় বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিনহাজ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যবধান অনেক বেশি : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গতকাল থেকে শুরু হওয়া বিনা লাভের দোকানে যে ৯টি পণ্য বিক্রি হয় সেগুলো নগরীর অন্যান্য বাজারে অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি হয় বলেও বাজার ঘুরে দেখা গেছে। প্রতিটি পণ্যেই মিলেছে বিস্তর ব্যবধান। যে ডাল বিনা লাভের দোকানে ১০৫ টাকা করে কেজি বিক্রি হয় তা ময়লাপোতা সান্ধ্যবাজারে ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এমনিভাবে বিনা লাভের দোকানের ৫৫ টাকার আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ৪০ টাকার লাউ (প্রতি পিস) ৫৫ টাকা, ৩০ টাকার লাল শাক ৫০ টাকা, ৪০ টাকার পটোল ৭০ টাকা, ২০ টাকার পেঁপে ৫০ টাকা, ১৫০ টাকার কাঁচাঝাল ২৪০ টাকা, ৭৫ টাকার পেঁয়াজ ১৪০ টাকা এবং বিনা লাভের দোকানের ২১৫ টাকার রসুন বাজারে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকালে নগরীর শিববাড়িসহ কয়েকটি বিনা লাভের দোকান পরিদর্শন করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি এ ধরনের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এ ধরনের সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে আরো অনেকে এগিয়ে এলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়া আজ থেকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে বলেও তিনি জানান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>