<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানির ওপর সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের কৃষকরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বৈরী পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে এই এলাকার কৃষকরা পানির ওপর গড়ে তুলেছেন ভাসমান সবজির বাগান ও বীজতলা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, উপজেলার মালিখালী, দেউলবাড়ী দোবড়া এবং কলার দোয়ানিয়া ইউনিয়নের অনেক জমি সারাবছরই জলাবদ্ধ থাকে। স্থানীয় কৃষকরা এসব জমিতে চাষাবাদ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। ভাসমান বাগানগুলোতে কৃষকরা সাধারণত লাউ, শিম, বেগুন, বরবটি, করলা, পেঁপে, টমেটো, শসাসহ বিভিন্ন মসলা উৎপাদন করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কচুরি দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করা হয়। অনেক দূর থেকে কচুরি আনতে হয়। ৬০ হাতের একটি বেড তৈরি করতে আট হাজার টাকা লাগে। এই বেডে লাউ, পেঁপে, মরিচ ও বেগুন চাষ করি। ধাপের উওপরে টোপাপেনা দিয়ে বেডটা সুন্দর করে সাজিয়ে চারা রোপণ করি। একটি বেডে ৪০০ টাকার বীজ লাগে। একটি ধাপে এক হাজার ১০০ চারা রোপণ করা যায়। এই বেডে বছরে চারবার চারা উৎপাদন করা যায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চারাচাষি রেজাউল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩২-৩৩টি ধাপ আছে। একটি বেডে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। চারা বিক্রি করি চার-পাঁচ টাকা করে। চারা বিক্রিযোগ্য করতে চার থেকে সাড়ে চার টাকা খরচ হয়। আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে লাভ। দুদলি বোন, পেনা, লাতার ওপর চারা রোপণ করি। বছরে চার মাস এই চারা চারবার বিক্রি করা যায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাত জাহান জানান, ভাসামান সবজি এবং চারা চাষের ঐতিহ্য দুই শ বছরের। উপজেলার তিন ইউনিয়ন মালিখালী, দেউলবাড়ী দোবড়া, কলারদোয়ানিয়ায় বছরের সাত মাস পানি থাকায় এই পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। সবজির চেয়ে চারা চাষে লাভ বেশি, তাই কৃষকদের চারা চাষে আগ্রহও বেশি। ১৮০ হেক্টর জমিতে দুই হাজার ২০০ বেডে এই সবজি ও চারা চাষ করা হয়। ভালো বীজ দিয়ে চারা উৎপাদন করলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সাহায্য করি এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>