<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হামার ছল সোহাগ হামার ঘেরক পাললো হয়, সব কিছুই করলো হয়, দেখশুন করলো হয়। পৃথিবীর বুকে ও-তো এখন নাই, হামাক এখন দেখশুন করবি কেই? পৃথিবীর বুকে যার সন্তান নাই তারাই বুঝে সন্তানহারার কত কষ্ট। এখন সারা পৃথিবী খুঁজে বেড়াই সন্তানের মুখ দেখতে পাই না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা কালের কণ্ঠকে বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ সোহাগের মা ছালমা বেগম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ সোহাগের মা ছালমা বেগম আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা খুব অসহায়, কোনো কাজবাজ করতে পারি না। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় বান্ডিল ঢেউটিন, ১২ হাজার টাকা নগদ অর্থ এবং শুকনা খাবার দিয়েছে। এ ছাড়া আর কিছুই পাইনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মা-বাবাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল শহীদ সোহাগের (১৮)। মায়ের ওষুধ আনতে গিয়ে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সোহাগ। ছেলের গুলি লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান রিকশাচালক বাবা রেজাউল ইসলাম। রাজধানীর এমজিএস হাসপাতালে ছেলের লাশ খুঁজতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন রিকশাচালক বাবা। হাসপাতালের মেঝেতে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা অনেক লাশের মধ্যে ছেলে সোহাগের পরনে থাকা পাঞ্জাবির একটি অংশ চোখে পড়ে। ছেলের লাশ অর্থের অভাবে বাড়িতে আনতে পারছিলেন না অসহায় সোহাগের বাবা। পরে রিকশা গ্যারেজের সহকর্মীরাসহ স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিজ গ্রাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় পাহাড়পুর গ্রামে নিয়ে আসেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোহাগ উত্তর বাড্ডায় একটি রঙের কারখানায় কাজ করতেন। শহীদ সোহাগ পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়েনর বড় পাহাড়পুর গ্রামের রেজাউল মিয়া ও মা ছালমা বেগমের ছেলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ সোহাগের বাবা রেজাউল মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার দুই ছেলে। সোহাগই আমার সংসারের সব কিছুই ছিল। বড় ছেলে বিয়ে করে সংসার করছে। এখন কে আমাকে দেখবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গত (১৯ জুলাই) শুক্রবার দুপুরে নামাজের পর উত্তর বাড্ডার ভাড়া বাসা থেকে অসুস্থ মা ছালমা বেগমের ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন সোহাগ। বাঁশতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গুলিতে আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে দেখতে পান ছেলের লাশ।</span></span></span></span></span></p>