<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনার হাজার বাসিন্দার দুর্ভোগের অপর নাম মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারী সেতু। এই সেতুর কারণে নগরীতে প্রবেশ করতেই অসহনীয় যানজটের শিকার হতে হয়। ময়ূর নদের ওপর সেতুটিতে ত্রুটি ও নতুন সেতু নির্মাণে ধীরগতিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় দ্রুত ব্রিজ নির্মাণকাজ সম্পন্ন ও নির্মাণকাজে ত্রুটির সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন নাগরিক নেতারা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সড়ক বিভাগের তথ্য বলছে, খুলনার গল্লামারীতে ময়ূর নদের ওপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত একটি সেতুর ওপর ২০১৬ সালে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি সেতু নির্মাণ করে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু নকশায় ময়ূর নদ রক্ষা, নৌযান চলাচল প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি। নিম্নমান, স্বল্প উচ্চতা ও পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় ওই সময়েই সেতুটি নির্মাণের প্রতিবাদ করেন পরিবেশবাদীরা। তীব্র যানজট কমাতে ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় পুরনো একটি সেতু। ফলে প্রতিদিন একটি সেতু দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করায় এখানে তীব্র যানজট ও ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে ২০২০ সালে দুই লেনবিশিষ্ট ও পানি থেকে পাঁচ মিটার উচ্চতার প্রায় ৬৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২৫ সালের মে মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তা থমকে রয়েছে। ফলে সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সওজের এক কর্মকর্তা জানান, স্টিল স্ট্রাকচারের ব্রিজটির নকশা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এতে ব্যবহৃত মালপত্র আমদানি করতে হচ্ছে। তাই কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এর মধ্যেই কাজের মেয়াদ একবার বৃদ্ধি পেয়েছে। সময় আছে আর ছয় মাস। কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ২৭.৭০ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, অনেক চড়াই-উত্রাই পেরিয়ে দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কাজটি বর্তমানে পতিত অবস্থায় রয়েছে। খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিছুজ্জামান মাছুদ সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা ব্রিজটি নির্মাণে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। ঠিকাদারকে সেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>