<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় ৯ বছর ধরে মেশিন অচল থাকায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের রেডিওথেরাপি মেশিনঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা রেডিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারছে না। স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে অসংখ্যবার চিঠি দেওয়ার পরও তালা খুলছে না। বাধ্য হয়েই চিকিৎসকরা রোগীদের বগুড়া, রাজশাহী, ঢাকার মহাখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০০ সালে এই হাসপাতালে স্থাপন করা হয় রেডিওথেরাপি কোবাল্ট-৬০ নামের একটি মেশিন। ২০০১ সালে চালু করা হয় এটি। পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে এই মেশিনের সোর্স রিপ্লেসমেন্ট করতে হয়, তা না হলে রেজাল্ট খারাপ হতে শুরু করে। তবু মেশিনটি ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সচল ছিল। এরপর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালগুলোর যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে (নিমিউ অ্যান্ড টিসি) একাধিকবার পত্র দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার পত্র দেওয়ার পরও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পত্রের ফিরতি কোনো উত্তরও পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রেডিওথেরাপির পাশাপাশি ব্রেকিথেরাপি ও লিনিয়ার অ্যাকসিলারেটর মেশিন প্রয়োজন। সেসব যন্ত্রও নেই এই হাসপাতালে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মূল হাসপাতালের বাইরে পশ্চিম পাশে একতলা একটি ভবনে রেডিওথেরাপি মেশিনটি স্থাপন করা হয়েছিল। ভবনটি বর্তমানে তালাবদ্ধ। ভেতরে ময়লা-আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ঘরটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কলেজ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত ছয় হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে রংপুর বিভাগ ছাড়াও অন্য বিভাগ থেকেও অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে হাসপাতালে, যাদের বেশির ভাগই স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত। এ ছাড়া ফুসফুস ও কোলন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও আছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুড়িগ্রাম থেকে আসা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত এক গৃহবধূর স্বামী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একদিন রংপুরে আসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে রংপুরে চিকিৎসা নিচ্ছি। ডাক্তার বলছে, থেরাপি লাগবে। মেডিক্যালে আসি শুনি মেশিন নাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কলেজ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান ডা. জাহান আফরোজা খানম লাকি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেশিন বন্ধ বা নষ্ট থাকায় রোগীদের থেরাপি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব সমস্যা আছে তা নোট করা হচ্ছে।  এই মেশিন তো অনেক বড়, যদি মেরামত করে সচল করা যায় করব, না হয় ঢাকায় জানাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>