<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকার আদাবর এলাকায় আনন্দ মিছিলে যান ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস মালের ছেলে জাকির হোসেন (২৬)। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে আদাবর থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে সঙ্গে থাকা বন্ধুরা হাসপাতালে নিলে তিনি শহীদ হন। এরপর তিন মাস অতিবাহিত হলেও ছেলের কথা ভুলতে পারছেন না তাঁর মা-বাবা। সংসারের উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ শয্যাশায়ী বাবা ইউনুস মাল ও মা ইয়ানুর বেগম। কিছুতেই থামছে না তাঁদের ছেলে হারানোর কান্না। শহীদ জাকির ঢাকার আদাবর ১০ নম্বর সড়ক এলাকায় থ্রিপিস কারখানায় এমব্রয়ডারির (সুচিকর্ম) কাজ করতেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ জাকির হোসেনের মা ইয়ানুর বেগম জানান, দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় জাকির হোসেন। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলের বয়স ১৫ বছর। সেও জাকিরের সঙ্গে ঢাকায় এমব্রয়ডারির কাজ করত। সংসারের অভাবের কারণে জাকির হোসেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে বন্ধ করে দেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, অভাবের কারণে প্রায় ২০ বছর আগে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায় পরিবারটি। শহীদ জাকিরের বাবা ইউনুস দিনমজুরি কাজ করতেন আর মা ইয়ানুর বেগম মানুষের বাসায় কাজ করেতন। ছয় বছর আগে জাকির বিয়ে করেন। তাঁদের সংসারে দুই ছেলেসন্তান রয়েছে। এর মধ্যে জাবেদের বয়স পাঁচ বছর  ও ইলিয়াছের বয়স আট মাস।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই বছর আগে ইউনুস অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার কারণে কাজেও যেতে পারেন না তিনি। তাই ছেলে জাকির মা-বাবা দুজনকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ছেলে জাকির ও জাহিদের আয়ের টাকাই ছিল তাঁদের চলার একমাত্র অবলম্বন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মা ইয়ানুর বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা বলছে ২০ তারিখ টাকা পাঠাবে। ২০ তারিখের আগেই বাবায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এখন আমাদের কী হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>