<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষাক্ত তরল বর্জ্যে কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের খাল-বিল দূষণসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কুমিল্লা ইপিজেডের কলকারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্য বেশ কয়েকটি খাল-বিল হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে মিশছে। তবে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারের মাধ্যমে সব পরিশোধন হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে ২৬৭.৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেড প্রকল্প অনুমোদিত হয়। বর্তমানে এই ইপিজেডে বিদেশি, দেশি এবং দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন মোট ৪৭টি কারখানা চালু রয়েছে। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সেখানে শোধনাগার স্থাপন করা হয়। বর্জ্য পরিশোধনাগারটি রাসায়নিক ও জৈবিক উভয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করতে পারে। ২৪ ঘণ্টাই এটি চালু থাকার কথা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয়রা জানায়, কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জ্য পরিশোধনের কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। ইপিজেড হয়ে তরল বিষাক্ত বর্জ্য জেলার দক্ষিণাংশের বিভিন্ন ফসলি জমি, নদী-নালা, পুকুর, খাল-বিল ও জলাশয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। নগরের উনাইশার এলাকায় ইপিজেডের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সীমানাপ্রাচীরের নিচ দিয়ে বের হচ্ছে এসব বিষাক্ত পানি। এরপর পাশের দিশাবন্দ ও কাজীপাড়া খাল হয়ে এসব বিষাক্ত পানি মোস্তফাপুরের গুংগাইজুরি খাল দিয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর এলাকা হয়ে লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকায় গিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিশছে। এখানকার প্রতিটি খাল-বিল ও নালায় গাঢ় কালো রঙের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লা ইপিজেড চালুর আগে কখনোই খালে এমন কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি দেখিনি। এই বিষাক্ত পানি খালে আসার আগ পর্যন্ত এলাকার খালগুলো দেশীয় মাছে ভরপুর ছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগে খালের পানি দিয়ে কৃষি আবাদ করতাম। এখন চাষাবাদে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটিরই তরল বর্জ্যই পরিশোধন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকে। আমাদের একাধিক বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক সরাসরি এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিষয়টি মনিটরিং করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তাঁর দাবি, ইপিজেডের ভেতরে সিটি করপোরেশনের দুটি নালা রয়েছে। সেগুলো দিয়ে মানব বর্জ্যসহ শহরের দূষিত পানি তাদের পরিশোধিত পানির সঙ্গে একসঙ্গে বের হচ্ছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর ডেইরি ফার্মের বর্জ্যও এসব খালে যাচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নগরের ড্রেনের পানি ওইদিকে গেলেও খালের পানি এভাবে বিষাক্ত হতে পারে না। দুর্গন্ধযুক্ত ওই বিষাক্ত কালো পানি ইপিজেডের।।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা সরাসরি এবং আইপি ক্যামেরার মাধ্যমেও বিষয়টি মনিটরিং করছি। ইপিজেড হয়ে নগরের মানব বর্জ্যও এসব খাল ও নালায় যাচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>