<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মা তোমার বয়স হয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’—</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এভাবে প্রায়ই মায়ের খোঁজ নিতেন ছেলে পলাশ তালুকদার। মৃত্যুর দিনও সর্বশেষ মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে মাকে ফোন করে দুধ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-ডিম খেতে বলেছিলেন। মাকে বলেছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুব শিগগির বাড়ি ফিরব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বাড়ি ফিরেছে ঠিকই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, কিন্তু লাশ হয়ে। ছেলেকে হারিয়ে দিশাহার অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে এসব কথা জানান পলাশের মা বেনু বেগম। পলাশের আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পরিবার বাঁচাতে চাকরি খুঁজছেন তাঁর স্ত্রী রেশমা সুলতানা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯ জুলাই মিরপুর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-১০ গোলচত্বর এলাকায় শিক্ষার্থী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পড়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দি এলাকার ফিরোজ তালুকদার পলাশ (৩৮) বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলাশের বাড়িতে এখনো স্তব্ধতা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-নীরবতা। একটি কাঁচা টিনশেড ঘরে পলাশের মা বসবাস করেন। পলাশের মা বেনু বেগম (৬০) ছবি হাতে বসে রয়েছেন। বেনু বেগম ও মৃত সোহরাব তালুকদারের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে পলাশ ছিল বড়। ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন পলাশের মা। ছোট ছেলে শাহআলম তালুকদার টুটুলের সঙ্গে থাকেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলাশের মা বেনু বেগম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলাশ ঢাকার মিরপুর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-১২ এলাকায় রংপুর কেমিক্যাল কম্পানিতে অফিস সহায়ক হিসেবে পাঁচ বছর ধরে চাকরিতে নিয়োজিত ছিল। ১৯ জুলাই আমার সাথে দেখা করতে পলাশের মন অস্থির হয়ে ওঠে। মায়ের সাথে দেখা করতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য রওনা হয়। এ সময় মিরপুর-১০ গোলচত্বর এলাকায় শিক্ষার্থী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলি পলাশের বুকে লাগে। তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পলাশ। পরে স্থানীয়রা তাঁকে মিরপুরের আলোক হসপিটালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বামীর শোকে পাথর রেশমা সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, স্বামী মারা যাওয়ার কিছু দিন পর আমি ঢাকায় চলে এসেছি। আমি ডিগ্রি পাস করেছি। সরকার যদি আমাকে একটি চাকুরির ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমার পরিবারের জন্য খুব ভালো হয়।</span></span></span></span></span></p>