<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলনের তীব্রতা বাড়েছে। নিয়ম করেই এতে যোগ দেন শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম নাহিদ। ১৬ জুলাই প্রথমবারের মতো পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়তে হয়। এরপর ১৯ জুলাই পুলিশের ছররা গুলিতে বিদ্ধ হয় তার সারা শরীর। নাহিদের শরীরে এখনো ছয়টি গুলি রয়েছে। এর মধ্যে দু-একটি বেশ যন্ত্রণা দেয়। গলায় থাকা গুলিটির কারণে ভাত খেতেও কষ্ট হয় তার। নরম ভাত খাওয়া তার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাহিদ জানান, কদমতলী থানার রায়েরবাগ এলাকায় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রধান সড়ক থেকে একটি ট্রাক ভেতরের সড়কে এনে আটকে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের গুলি যেন তাদের না লাগে। এমন কৌশল ও ব্যাপক উপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পেরে উঠছিল না পুলিশ। এ অবস্থায় কিছু লোক এসে জানায় আরেক দিকে ছাত্রলীগ আছে। তখন শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে ধাওয়া করতে যায়। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী চলে গেলে পুলিশ সুযোগ পেয়ে আক্রমণ করে। তখনই তার সারা শরীরে ১৫ থেকে ২০টির মতো গুলি লাগে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন নাহিদুল ইসলাম নাহিদ। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ওই যুবক ঢাকায় থেকে পলিটেকনিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন। বাবা ঢাকার একটি হোটেলের কর্মচারী মো. তাজুল ইসলাম। চার ভাই ও পাঁচ বোন নিয়ে তাদের সংসার। গৃহিণী মা সাবিকুন নাহার পরিবারের অন্যদের নিয়ে থাকেন গ্রামের বাড়িতেই।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কথা হলে নাহিদুলের মা সাবিকুন নাহার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯ ভাই-বোনের মধ্যে নাহিদ মেধাবী। যে কারণে তাকে ঢাকায় পড়াশোনা করতে পাঠাই। খবর পাচ্ছিলাম সে আন্দোলনে যায়। তখন ফোন করে একজন শিক্ষককে মানা করি নাহিদ যেন আন্দোলনে না যায়। ওই শিক্ষক বলেন, যদি বাংলাদেশ ভালো না থাকে তাহলে আপনার ছেলের কী দাম থাকবে। সব ছাত্র যায় বলে আপনার ছেলে আমার কথা শুনবে না ভেবে তাকে নিষেধ করিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি জানান, নাহিদ আহত হওয়ার পর তার খালার বাড়ির ঠিকানা বলেন। স্থানীয় লোকজন তাকে মৃত ভেবে সিদ্ধিরগঞ্জের সানাইপাড়ে নিয়ে যায়। লোকজন তার খালার বাড়িতে গিয়ে বলে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাদের এক আত্মীয়ের লাশ নিচে আছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তখন সবাই মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছু গুলি তাৎক্ষণিকভাবেই বের করা হয়। তার গলাসহ বিভিন্ন জায়গায় গুলি রয়েছে। গলার গুলির কারণে তিনি ভালোভাবে খেতেও পারেন না। শরীরে থাকা গুলি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাথা, পিঠ ও গলায় পাঁচ-ছয়টির মতো গুলি আছে। ডাক্তাররা বলেছেন এগুলো বের করা রিস্ক হবে। যে কারণে ওই গুলিগুলো এখনো রয়ে গেছে। এর মধ্যে গলার গুলিটি যন্ত্রণা দেয় বেশি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>