<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলু বীজের সংকট ও চড়া দামের কারণে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর আলু চাষিরা। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আলু চাষের সব উপকরণ। বিশেষ করে প্রান্তিক চাষিদের পড়তে হচ্ছে বড় সংকটে। বীজ আলুর জন্য অগ্রিম টাকা পরিষদ করেও কাঙ্ক্ষিত বীজ আলু পাচ্ছেন না কৃষকরা। অন্যদিকে সাব-ডিলারদের থেকে বীজ মিললেও গুনতে হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ। সাব-ডিলাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বীজ আলুর অতিরিক্ত দাম আদায় করছেন বলে অভিযোগ কৃষকদের। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে ডিলারদেরও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। গতবারের তুলনায় বীজের দাম, জমির লিজ মূল্য, শ্রমিক খরচসহ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সব খাতে ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ। দুই বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় আলু চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। রাজশাহী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মোহনপুরের ধুরইল এলাকার আলু চাষি ইউসুফ আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার তো মনে হয় বীজই পাব না। গত বছর ব্র্যাকের এই গ্রেডের বীজ আলুর দাম ছিল প্রতি মণ ২৫ থেকে ২৬ শ, এ বছর ১ মণ বীজের দাম পাঁচ হাজার টাকা, আর বক্সে যে উন্নতমানের এক ধরনের বীজ পাওয়া যায়, গতবছর প্রতি বাক্সের দাম ছিল আট হাজার টাকা, এবার তার দাম ১৬ হাজার টাকা। জমি লিজে প্রতি বিঘায় দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে বিঘায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাহিনুর নামের একজন চাষি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুকিংয়ের বাইরে বীজ পাওয়া যাচ্ছে না, সাব-ডিলারদের থেকে কিনলে পাঁচ হাজার টাকা মণ আর ডিলারের থেকে নিলে ৩২ শ টাকা। আমি ডিলারের এখানে চার মাস আগে দুই লাখ টাকা দিয়ে বুকিং দিয়েছি কিন্তু মাল পাচ্ছি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজন চাষি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার দিন ধরে ঘুরছি এক বস্তা বীজও পাইনি। ছয় মাস আগে বুকিং দেওয়া আছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স শততা বীজ ভাণ্ডারের মালিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি একটি রাজনৈতিক মামলায় সপ্তাহখানেক আগে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলখানায় রয়েছেন। এখন তাঁর জামাই ব্যবসা পরিচালনা করছেন, কিন্তু গুদামে কাউকে পাওয়া যায়নি। মশিউর নামের গুদামের একজন স্টাফ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাহিদামতো বীজ না পাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আর চাচা (ডিলার) জেলখানায় আটক থাকায় সমস্যা বেশি হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোহনপুরের ত্রিমোহনী এলাকার সাব ডিলার মো. সুলতান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বীজ আলু চাহিদার অর্ধেক পাওয়া যাচ্ছে, যে কৃষকরা আগে বুকিং দেননি, তাঁদের বীজ পাওয়া অনিশ্চিত। কোনো কোনো সাব-ডিলার চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার রাজশাহীতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নিয়ে কথা হয় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. উম্মে ছালমার সঙ্গে। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতবার আমাদের আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে। এবার আমাদের লক্ষ্য ৩৫ হাজার হেক্টর। আলু উৎপাদনে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য থাকবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>