<p>সীমানাপ্রাচীর ভেঙে যাওয়ায় অরক্ষিত অবস্থায় চলছে নেত্রকোনার মদন উপজেলা খাদ্যগুদামের কার্যক্রম। গুদাম কর্তৃপক্ষ প্রাচীর নির্মাণের জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠালেও কোনো সুরাহা মিলছে না। ফলে গুদামসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আতঙ্ক ও ঝুঁকি নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।</p> <p>জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে মদন উপজেলা খাদ্যগুদামের প্রথমে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এর আগে গুদামের জায়গা নির্ধারণ করে সীমানাপ্রাচীর ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার আবাসিক ভবন ও দারোয়ান শেড নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১০ সালে নির্মিত হয় আরেকটি নতুন ভবন। কিন্তু ১০ বছর আগে গুদামের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশের প্রায় ৫০০ ফুট সীমানাপ্রাচীর ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ভাঙা স্থানে কাঁটাতার ও বেড়া না দেওয়ায় পুরো গুদাম অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। খাদ্যগুদাম সংরক্ষিত হওয়ার কথা থাকলেও ভাঙা সীমানাপ্রাচীরের কারণে জনসাধারণ অবাধে যাতায়াত করছে। এতে গুদামের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।</p> <p>অন্যদিকে গুদামের জায়গা থেকে জিসি রোডের উচ্চতা বেশি হওয়ায় পুরো এলাকার পানি খাদ্যগুদামে গড়ায়। কিন্তু গুদামে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বছরে ছয় মাসই জলাবদ্ধতা থাকে।  ফলে পিচ্ছিল কাদার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা ট্রাক থেকে মালপত্র গুদামে তোলার সময় নিচে পড়ে ধান, চাল, গম নষ্ট হয়ে থাকে।</p> <p>উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ হোসেন সারোয়ার বলেন, ‘দেয়াল ও বাসভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কয়েকবার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করছি।’ সীমানাপ্রাচীর ভাঙা থাকলেও সব সময় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে দাবি কর্মকর্তার।</p> <p> </p>