<p>শীতের আগমনে সীমান্তঘেঁষা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে ঝেঁকে বসবে শীত। এবার শীতের দাপট দেখানোর আগেই লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছে। তুলা, লেপের কাপড়, ফোমের দাম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।</p> <p>দেশের উত্তরের জনপদ রাজশাহীর বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে সন্ধ্যা থেকেই শীতের তীব্রতা দেখা দিচ্ছে। এই শীতে উষ্ণতা ছড়াতে লেপ-তোশকের জুড়ি নেই। আর তাই উপজেলা সদরে লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ করা গেছে। অনেকেই পুরনো লেপ-তোশকের কভার পাল্টিয়ে নিচ্ছেন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার শীতের তীব্রতা গত বছরগুলোর তুলনায় আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।</p> <p>এদিকে উত্তরের হিমালয়সংলগ্ন অঞ্চল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় শীতের তীব্রতা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের ভিড় বেড়েছে। হিমেল হাওয়ার কারণে শীত মোকাবেলায় মানুষ ফুটপাত ও অস্থায়ী দোকান থেকে স্বল্পমূল্যে শীতবস্ত্র কিনছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের বিভিন্ন দোকানে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য মাফলার, টুপি, মোজা, কানটুপিসহ শীতবস্ত্র কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।</p> <p>পরিবার নিয়ে শীতবস্ত্র কিনতে আসা ক্রেতা মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করেই শীত বেশি পড়তে শুরু করেছে। তাই নাতির জন্য শীতের কাপড় কিনতে বের হয়েছি। তবে এত ভিড় হবে ভাবিনি।’</p> <p>পুরনো কাপড় বিক্রেতা মিন্টু ইসলাম বলেন, ‘শীতের পুরনো কাপড় দামে সহজলভ্য হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের চাহিদা বেশি।’</p> <p>ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা মানিক বলেন, ‘কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় বেশি। কয়েক দিন তেমন বেচাকেনা হয়নি। তবে আজ গ্রাহক বেশি। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে।’</p> <p>দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।</p> <p> </p>