<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরে চলছে পরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘট। এর ফলে কার্যত অকার্যকর হতে চলেছে বন্দর কার্যক্রম। বেনাপোল চেকপোস্ট সংলগ্ন বন্দর বাস টার্মিনাল থাকায় এত দিন বন্দর এলাকায় তীব্র যানজট লেগে থাকত, যে কারণে বিঘ্নিত হতো আমদানি-রপ্তানিসহ ভারতফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সেবা। এ অঞ্চলে যাতায়াতকারী সাধারণ যাত্রীদেরও ভোগান্তির শেষ ছিল না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পরিস্থিতিতে গণমানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে চার কিলোমিটার দূরে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে সরকার। যানজট নিরসনে কাগজপুকুর নামক স্থানে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ করে বেনাপোল পৌর কর্তৃপক্ষ, যা ২০২৩ সালের ৪ মার্চ উদ্বোধন করা হয়; যদিও বাস টার্মিনাল নির্মাণের দুই বছর এবং উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও নানা কারণে চালু করা যায়নি বাস টার্মিনালটি। এর ফলে জনসাধারণের ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে গত ৭ নভেম্বর যশোর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় স্থানীয় প্রশাসনের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসানের নেতৃত্বে পৌর বাস টার্মিনালের কার্যক্রম চালু করা হয়। আর এই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেন কলকাতার সঙ্গে পেট্রাপোল থেকে সংযুক্ত সাত-আটটি পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এর নির্দেশনা অমান্য করে বাস চালাতে থাকে তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রি. জে. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকল টার্মিনাল উদ্বোধন শেষে বাস টার্মিনাল চালু করার নির্দেশ এবং একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি চলাচলকারী বাস ছাড়া সব ধরনের বাস চেকপোস্ট থেকে উঠিয়ে টার্মিনাল থেকে চলাচলের নির্দেশ দেন, যা মানতে নারাজ পরিবহন মালিকরা। পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাবি, চার কিলোমিটার দূরে যাত্রীদের যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবহন কর্তৃপক্ষের লোকজনের দাবি, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সব পরিবহন ভোররাতে বেনাপোলে পৌঁছে। টার্মিনালে নিরাপত্তাসহ নানা অসুবিধা থাকায় তারা চেকপোস্টে যাত্রী নামিয়ে খালি বাস নিয়ে টার্মিনালে ফিরে যেত। গতকাল পূর্বঘোষণা ছাড়াই চেকপোস্টে অবস্থিত টার্মিনালে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ কারণে তারা ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয়েছে। পরিবহন কর্তৃপক্ষ বেনাপোল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে নাভারণ মোড়ে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, মূলত দূরপাল্লার (ঢাকা থেকে বেনাপোল এবং বেনাপোল থেকে ঢাকামুখী) পরিবহনগুলো তাদের অনৈতিকভাবে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই নতুন টার্মিনালটি ব্যবহার করতে চাইছে না। সীমান্তঘেঁষা বেনাপোল স্থলবন্দর বাস টার্মিনাল (পুরনো টার্মিনাল) ব্যবহারে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। মূলত ভারত থেকে আসা লাগেজ পার্টির অবৈধ মালপত্র তারা নির্বিঘ্নে পরিবহনে উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারা পুরনো টার্মিনালকেই বেশি সুবিধাজনক মনে করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কী কারণে তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) ধর্মঘট ডেকেছে, আমরা সে বিষয়ে ওয়াকিফহাল নই। তাদের কোনো কিছু বলার থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন পৌর বাস টার্মিনালের নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য মোতায়েন, নারী-পুরুষের জন্য পৃথক নামাজের স্থান, ব্রেস্ট ফিডিংয়ের জন্য কর্নার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব কিছুই রয়েছে। আমরা বলেছি, পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তারা সীমান্তে যাত্রী নামিয়ে দিতে পারবে, কিন্তু কোনো বাস আমরা সেখানে থাকতে দেব না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>