<p>বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পূর্ব গোয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজের ধীরগতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এলজিইডি বিভাগ থেকে তিনবার কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দিলেও টনক নড়েনি। কাজ শেষ না হওয়াতে কক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান (ক্লাস)। ভোগান্তির জন্য ঠিকাদারকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।</p> <p>বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৯ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ না করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিনবার কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। এলজিইডি সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করতে নোটিশ দিয়েছে। যদিও কাজের ২০ ভাগও হয়নি।</p> <p>বিদ্যালয়ের সভাপতি নাদিরা আফরিন বলেন, ‘দ্রুত কাজ শেষ করতে বলেছি, কিন্তু ঠিকাদার কচ্ছপগতিতে কাজ করছেন।’</p> <p>ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃন্ময় গাইন বলেন, ‘দেড় বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি ক্লাসে ১১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের দুই কক্ষ ও শিক্ষকদের কক্ষ ও লাইব্রেরির মাঝে কাপড়ের রুম বানিয়ে আলাদা করে চারটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষকদের লাইব্রেরির মধ্যে অন্য দুটি শ্রেণির পাঠদান চালাই। শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার কারণে শিক্ষকদের বসার জায়গা নেই।’</p> <p>এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘আশা করি আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হবে।’</p> <p>ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন মিলু ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে সাইট ঠিকাদার জয়দেব রায় বলেন, ‘টেন্ডারের সময় নির্মাণসামগ্রীর মূল্য কম ছিল।’</p>