<p>টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুরনো ভাটার কাগজ দিয়ে অবৈধ নতুন ইটভাটায় সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলার গোড়াই ও বহুরিয়া ইউনিয়নের তিন ফসলি আবাদি জমিতে অবৈধ সাতটি ইটভাটা চালু করা হয়েছে। আর এই সাত ইটভাটায় পুরনো ইটভাটার কাগজপত্র দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হচ্ছে।</p> <p>চলতি মৌসুমে চালু হওয়া অবৈধ ইটভাটাগুলো হলো উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামে আরবিসি ব্রিকস, এমএসবি ব্রিকস, বাটা ব্রিকস, চান্দুলিয়া গ্রামে এইচইউবি ব্রিকস, গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা মল্লিকপাড়া গ্রামে সনি ব্রিকস, দেওহাটা পাথালিয়াপাড়া গ্রামে বিঅ্যান্ডবি ব্রিকস, দেওহাটা ও বাইমহাটী গ্রামে রান ব্রিকস।</p> <p>জানা গেছে, এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে গত মৌসুমে ১০৭টি ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানো হয়েছে। এসব ভাটা বনের ভেতর, নদীর পার দখল করে, বিদ্যালয়ের পাশে এবং তিন ফসলি জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি ভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকি ৬৯টি ভাটার পরিবেশসহ প্রশাসনিক ছাড়পত্র নেই। চলতি মৌসুমে নতুন সাতটি ইটভাটা চালু করা হয়েছে। নতুন সাত ইটভাটা মালিকের পুরনো ইটভাটা রয়েছে। পুরনো ইটভাটার কাগজপত্র দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পল্লী বিদ্যুৎ মির্জাপুর অফিসে আবেদন করে মালিকপক্ষ।</p> <p>এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুৎ মির্জাপুর অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রঞ্জিত কুমার সরকার সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন শেষে লাইন প্রাপ্তির সুপারিশ করেন। এরপর তিনি ফাইলে এজিম কম এবং ডিজিএমের স্বাক্ষর নিয়ে টাঙ্গাইল কারিগরিতে পাঠান। সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে খুঁটি ও ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজ শুরু হয়।</p> <p>পল্লী বিদ্যুৎ মির্জাপুর অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রঞ্জিত কুমার সরকারের কাছে অবৈধ ইটভাটার সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি টাঙ্গাইলে আছি। পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন।’</p> <p>পল্লী বিদ্যুৎ মির্জাপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুরনো ভাটার নবায়কৃত ছাড়পত্র দিয়ে ভাটা মালিকরা সংযোগের আবেদন করেছেন। ওই সংযোগ নতুন ভাটায় দেওয়া হয়েছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল অফিসের উপপরিচালক মিয়া মাহমুুদুল হক জানান, নতুন সাত ইটভাটার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।</p> <p> </p>